শিরোনাম
◈ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফের গরম হচ্ছে রাজপথ ◈ ফরিদপুরের কুমার নদে ট্রলার-স্প্রিটবোর্ডে প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের অস্ত্রের মহড়া ◈ ‎ব্রিটিশ ট্যোবাকো কোম্পানির তামাকবাহী ট্রাক থেকে গাঁজাসহ আটক-৩ ◈ ঢাকা-ওয়াশিংটন সামরিক মহড়া, নজর রাখছে ভারত ◈ রোববার ভারত-পাকিস্তান এ‌শিয়া কা‌পে আবা‌রো লড়াই‌য়ে নাম‌ছে ◈ ট্রাইব্যুনালে নাহিদ ইসলাম: ড. ইউনূসকে সরকারপ্রধানের প্রস্তাব, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের সমালোচনা ◈ আগামী নির্বাচনে ভোটার আস্থা নিশ্চিতই প্রধান দায়িত্ব: ফেসবুক বার্তায় তারেক রহমান ◈ ফেব্রুয়া‌রির নির্বাচ‌নে জামায়াতে ইসলামী‌কে দিল্লি কোন চোখে দেখবে? ◈ ইসরায়েল খেললে বিশ্বকাপ ফুটবল বয়কট কর‌বে স্পেন ◈ এ‌শিয়া কা‌পে রা‌তে শ্রীলঙ্কা - আফগা‌নিস্তান মু‌খোমু‌খি, লঙ্কান‌দের জয় দেখার অ‌পেক্ষায় বাংলাদেশ 

প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৪০ দুপুর
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৪০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেরপুর ব্রক্ষপূত্র নদীর পার এখন ভূমিদস্যুদের দখলে , মাঝি ও জেলেদের মানবেতর জীবন

তপু সরকার হারুন: শেরপুর ব্রক্ষপূত্র নদীর পারের জেলেদের মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায় । বেকার হয়ে পড়েছে ব্রক্ষপূত্র নদীর পারের জেলেরা। এক সময় তারা নৌকায় বা ডিঙ্গি দিয়ে মাছ শ্বিকার করতো এবং শেরপুরের এ-পার থেকে ওপারে মানুষ পারাপার করতো । সারা দিন পর ২০০থেকে ৩০০ টাকা উর্পাজন করতো তা দিয়েই সংসার চালাতো । কালের বিবর্তনে প্রায় ১৭/১৮ ধরে শেরপুর ব্রক্ষপুত্র নদীতে ব্রিজ হয়ে যায় ।
তাদের উর্পাজনের অবলম্ভনই ছিল নৌকা বাওয়া ও মাছ শ্বিকার করা ও তার উপরই নির্ভরশীল ছিল তারা । এখন আয় না থাকায়, না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে তারা ।সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে জেলেরা ।এদিকে নদীর ২ পাশে ভূমিদস্যুদের অবৈধ্য দখলদারিত্বে গড়ে তুলেছেন বাসা বাড়ী ,দোকানপাট ,বাজার ও মার্কেটে ভরাট হয়ে খালে পরিনত হয়েছে ব্রক্ষপূত্র নদী । এছাড়াও সরকারী অনুমতি ছাড়া বালু মহলের নামে অবৈধ ভাবে ড্রেজার বসিয়ে প্রতিদিন শত, শত ট্রাক বালু উওোলন করছেন করা হচ্ছে । বুধবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ব্রিজের ৩০০ গজ হবে কিনা , সেখান ডাবল ড্রেজার বসিয়ে লক্ষ লক্ষ সেপ্টি বালু উওোলন করছে ।

দীর্ঘমেয়াদ কাল থেকেই এ-অবৈধ্ বালু উওোলনের কারনে ব্রিজের নিচে পিলার থেকে মাটি সরে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী । এদিকে নদীতে পানি শুকিয়ে চর পড়ে যাওয়াতে জেলেরা আরো চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছে বলে ও এলাকা বাসী বলেন । জেলেরা সাধারনত কার্তিক মাস থেকে চৈত্র, বৈশাখ মাসে বিছানা জাল পেতে মাছ শিকার করলেও এখন দুসপ্রাপ্য হয়ে পড়েছে ।

বর্ষার মৌসুম ছাড়া মাছ শিকার বন্ধকালীন তাদের ৫/৬ মাস ভিজিডি ও ভিজিএফের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন বলেও অভিজ্ঞ মহল মনে করেন ।৬ জানুয়ারী বুধবার মানিক মিয়া (৭০ ) এক জেলে ব্রিজের দক্ষিন পাশে আরো দু,জন কে নিয়ে ,৪০০ হাত লম্ভা এবং৬০০ ফুট বেয়া বিছানা জাল সেলাই করছেন । তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞস করতেই তিনি বলেন, এখন অনেক জায়গা ছিড়ে ফুলে গেছে , সেলাই করছি । আপনি কত বছর যাবৎ এ নদীতে মাছ ধরেন , তিনি বলেন আমার দাদা এবং বাবার আমল থেকেই আমরা এ-পেশায় নিয়োজিত ।  জামালপুর শেরপুর মিলে প্রায় ২শত থেকে ৩শত জেলে রয়েছে । কারো নিবন্ধন রয়েছে কারো নেই ।
অবৈধ বালু ও মাটি উওোলনের বিষয়ে চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা নায়েব শহীদুল ইসলামর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আগামী ২/১দিনের মধ্যে এসিল্যান্ড স্যার কে বিষয়টি জানাবো এবং সেখানে রিতিমত মোবাইল কোর্ড চলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়