শাহীন খন্দকার : করোনাভাইরাসে পোষা প্রাণীদর জীবনহানিও এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে বলে চীনা স্বাস্থ্য কমিশন দাবি করেছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) শ্যামলী টিভি হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আবু রায়হান বলেন, গত সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে লাল সংকেত দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। চীনের করোনা ভাইরাস এখন পৃথিবীর জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে ভয়ের কারণও হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, দিন দিন মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। তাতে শুধু চীন ভীত এমনটা নয়, গোটা বিশ্বেই কম-বেশি মানুষ এই মরণ রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং অনেকে মারাও গিয়েছে। তবে, মানুষ শুধু নিজেদের চিন্তা করছে বিষয়টি তেমনও নয়। পোষা প্রাণীদের জীবনহানিও এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।
পোষা প্রাণীরাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত কুকুর, বেড়ালসহ অন্য কোনও পোষা প্রাণী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা না ঘটলেও পোষা প্রাণী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাকে একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। তবে, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যেই এ কারণেই মানুষকে মাস্ক পরে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে পোষা প্রাণীদেরও।
তিনি আরো বলেন, চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তরফ থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে ইতোমধ্যেই জানিয়েও দিয়েছে, যদি কোনো পোষা প্রাণী বাড়ির বাইরে যায় এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসে তাহলে সেও আক্রান্ত হতে পারে। এই কারণেই পোষা প্রাণী যতোটা সম্ভব দূরে রাখাই ভালো বলে জানান।
তিনি বলেন, এই সময়ে স্তন্যপায়ী প্রাণী বিশেষ করে বাড়ীর পোষা প্রাণীর ওপর আমাদের বিশেষ নজর দেয়া উচিত। চীনে এখনও পর্যন্ত কোনো পোষা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসেনি। তবে চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের পরামর্শ, এই মহামারীর সময় পোষা প্রাণীকে নিয়ে চলাফেরা না করাই ভালো।
ইতোমধ্যেই বাড়িতে পোষা প্রাণীর আচার আচরণে কোনও পরিবর্তন দেখলে পশু চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়া উচিত বলেন জানান তিনি।