সাইফুর রহমান : বুধবার সিএএ নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করতে গিয়ে তামিল এই সুপারস্টার বলেন, যদি মুসলিমরা সত্যিই এই আইনের ফলে সমস্যায় পড়েন তবে প্রথমে আমিই এর বিরোধিতা করবো। বিক্ষোভকারীদের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, দেশভাগের সময় যে মুসলিমরা ভারতকে বেছে নিয়েছিলেন তাদের কেন বাইরে ঠেলে দেয়া হবে? পাশাপাশি জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ও এনপিআর নিয়েও নিজের সমর্থনের কথা জানান রজনীকান্ত। এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিরোধীতা করার আগে অধ্যাপকদের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই পথে নামুন। এসময় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা করে এই অভিনেতা বলেন, সরকার বারবার বলেছে সিএএ'র সঙ্গে ভারতীয় নাগরিকদের কোনও সম্পর্ক নেই। তবু কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই বিরোধিতায় উস্কানি দিচ্ছে।
তার এই বক্তব্য নিয়ে ইতোমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলে। আগামী বছর তামিলনাড়–তে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রজনীকান্ত রাজনীতিতে নিজের অভিষেক ঘটাতে পারেন বলে ধারণা করছেন তারা। এদিকে রজনীকান্ত সিএএ'র সমর্থনে এগিয়ে এলেও বিরোধীতা করছেন অপর তামিল সুপারস্টার কমল হাসান। তিনি বলেন, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে বলেই সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংসের অধিকার কারও নেই।