ওবায়দুর রহমান সোহান, ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসু'র অনুষ্ঠিতব্য নির্বাহী সভার মূল আলোচ্যসূচীতে নেই 'মুক্তিযুদ্ধ' সম্পর্কিত কোনো বিষয়বস্তু। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সহ ডাকসুর আরো কয়েকজন নির্বাচিত প্রতিনিধি। একই সাথে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাহী সভা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত।
২রা ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসু'র বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী কর্তৃক স্বাক্ষরিত "অবহিতকরণ" চিঠি সূত্রে এ বিষয়ে জানা যায়।
রাব্বানী স্বাক্ষরিত চিঠিতে, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে দুপুর ৩ টায় ডাকসু কার্যালয়ে, ডাকসুর সকল নির্বাচিত সকল প্রতিনিধিকে ডাকসুর নির্বাহী সভায় উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।
নির্বাহী সভার আলোচ্যসূচীতে ১.পূর্ববর্তী নির্বাহী সভার কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ ২. বর্তমান ডাকসুর মাধ্যমে ব্যয়কৃত অর্থের অডিট সম্পন্নকরণ ৩. ওনলাইন পেমেন্ট এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় লেনদেন পরিচালনার ব্যবস্থাকরণ ৪, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের পরিবহন সমস্যা সংক্রান্ত আলােচনা। ৫. গুচ্ছ/সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত আলােচনা ৬, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য নবীন বরণ ২০২০' আয়ােজন। ৭. ক্যাম্পাসে পলিথিন ও প্লাস্টিক এর ব্যবহার বন্ধে করণীয় নির্ধারণ ৮. বিবিধ ইত্যাদি বিষয় থাকলেও নেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো এজেন্ডা।
এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ডাকসু'র মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী। তিনি বলেন, কাদের সাথে আলোচনা করে এজেন্ডা নির্ধারণ করা হয় তা আমরা বুঝতে পারছি না। এর আগে ডাকসু'র অন্যান্য নির্বাহী সভার এজান্ডাতেও এই বিষয়টি উপেক্ষিত ছিল৷ এবারও একই রকম ঘটনা ঘটলো।
তিনি আরোও বলেন, আমি ক্যাম্পাসের ভাস্কর্য নিয়ে কাজ করেছি এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কাজ করেছি এবং সামনে আরো করবো। এজেন্ডাতে যদি এই বিষয়টি উল্লেখই না থাকে তাহলে এসব উত্থাপন করবো কিভাবে?
অন্যদিকে নির্বাহী সভার আলোচ্যসূচীতে তার মতামত না নেওয়ায় ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত অনুষ্ঠিতব্য নির্বাহী সভা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কে বা কারা এজেন্ডা তৈরি করেছেন তা আমার জানা নেই। যেই এজেন্ডা তৈরিতে ডাকসুর অন্যান্য সদস্যদের মতামত নেওয়া হয়নি তার মানে হলো সেখানে তাদের মতামতের প্রয়োজন নেই। তাই সেই নির্বাহী সভায় থাকার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়না।
এ বিষয়ে জানতে ডাকসু'র সাধারণ সম্পাদক রাব্বানীকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।