রাশিদ রিয়াজ : ইরান-বিরোধী সহযোগিতা ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে আমেরিকা ও ইসরাইলের সঙ্গে গোপন বৈঠকে যোগ দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মার্কিন নিউজ ওয়েবসাইট ‘অ্যাক্সিওস’ মঙ্গলবার এক রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, গত ১৭ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউজে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে তেল আবিব ও আবু ধাবির মধ্যে বর্তমানে পরস্পরের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না চালানোর যে সমঝোতা রয়েছে তাকে আরো ঘনিষ্ঠ চুক্তিতে রূপ দেয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ইসরাইলি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেইর বেন-শাবাত এবং ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ বিন ওতাইবা তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। আরব আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন জায়েদের সঙ্গে ওতাইবার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
গণমাধ্যমকে না জানিয়ে অনুষ্ঠিত ওই গোপন বৈঠকে আমেরিকার পক্ষ থেকে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন, তার উপপ্রধান ভিক্টোরিয়া কোটস এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ইরান অ্যাকশন গ্রুপের প্রধান ব্রায়ান হুক অংশ নেন।
ওই বৈঠকের চারদিন পর গত ২১ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ এক টুইটার বার্তায় তার ভাষায় ‘ইসলামের সংস্কারমূলক’ পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে একটি ‘ইসরাইল-আরব জোট’ গড়ে উঠছে। পরদিনই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু পাল্টা টুইটে বিষয়টি নিয়ে এই মুহূর্তে নীরবতা অবলম্বনের জন্য আবু ধাবির প্রতি আহ্বান জানান।
হোয়াইট হাউজের ওই গোপন বৈঠকের এক মাস পর গত ২৮ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবসহ শীর্ষস্থানীয় আরব দেশগুলো ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ-বিরোধী ওই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে শক্ত কোনো কথা বলেনি। পারসটুডে