আক্তারুজ্জামান : চীনে বিভিন্ন টেনিস একাডেমিতে কোচ হিসেবে কাজ করছেন ২৫ জন বাংলাদেশি। করোনাভাইরাস আতঙ্কে বেশির ভাগই ফিরে এসেছেন দেশে। উংদুনে অবস্থানকারীদের মধ্যে ভাইরাসের প্রবণতা কম থাকায় সেখানকার কেউ আসেননি। তথ্যগুলো জানিয়েছেন বাংলাদেশি সাবেক টেনিস খেলোয়াড় মাকসুদুল করিম। যিনি বাংলাদেশে এসেছেন গত ২৯ ডিসেম্বর।
চীনের সাংহাই শহরের শিয়াংশিয়াং টেনিস একাডেমিতে কোচের দায়িত্ব পালন করছেন মাকসুদুল। সাংহাই নগরীতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কিত হয়ে একাডেমির মালিকের কাছে ছুটির আবেদন করেন। প্রথম কয়েক দফায় মঞ্জুর না হওয়ায় ‘জীবন বাঁচানোর’ কথা শুনিয়ে ছুটি নিয়েছেন।
তিনি জানালেন, ওখানকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে উঠেছিল। দোকান পাট সব বন্ধ। মানুষ বাইরে বের হয় না। আমার খাবারও শেষ হয়ে আসছিল। শেষমেষ অনুরোধের ছুটি নিয়েই দেশে ফিরেছি। পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত ফিরবো না।
জাতীয় দলের সাবেক টেনিস খেলোয়াড় শাহনেওয়াজ আহমেদ স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সাংহাই থেকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। ২০১৭ সালে চীনে পাড়ি জমানো শাহনেওয়াজ এখন সাংহাইয়ে তিনটি একাডেমির মালিক। শেষ ১৯ ডিসেম্বর দেশে এসে ছুটি কাটিয়ে আবার ২৬ তারিখ ফিরে গিয়েছিলেন সাংহাই। কিন্তু সেখানকার অবস্থা বেগতিক দেখে ২৮ তারিখেই আবার দেশে ফিরেছেন।
বেইজিংয়ে থাকেন আরেক সাবেক টেনিস খেলোয়াড় আখতার হোসেন। দুই সপ্তাহ আগে বাবার চিকিৎসার জন্য এসেছেন ভারতে। কলকাতা থেকেই আবার ফিরে যাওয়ার কথা ছিল বেইজিং। কিন্তু এখন আর একাডেমিতে না গিয়ে বাংলাদেশে ফিরেছেন ডেভিস কাপ খেলা আখতার।
গুয়াংজু প্রদেশের দুঙ্গনে গ্যালপ একাডেমিতে কোচ হিসেবে আছেন নাইমুল ইসলাম। সেখান তার সঙ্গে এখনো আছেন আরও সাত বাংলাদেশি। সেখানকার পরিস্থিতি এখনো সহনীয় পর্যায়ে আছে বলে দেশে ফেরার কোনো ভাবনা নেই নিয়ামুলদের।
আপনার মতামত লিখুন :