সাইফুর রহমান : আর্থিক সমীক্ষার প্রতিবেদন উল্লেখ করে এই তথ্য জানালেন দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। শনিবার ভারতীয় পার্লামেন্ট কেন্দ্রীয় বাজেট প্রস্তাব পেশের ঠিক আগের দিনই এই তথ্য জানিয়েছে আর্থিক সমীক্ষা। আগামী ১ এপ্রিল থেকে ভারতে শুরু হবে নতুন অর্থবছর। যদিও জিডিপি বাড়লেই আর্থিক মন্দা কতটা ঘুছবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। ইকোনমিক টাইমস. নিউজ১৮, আনন্দবাজার
গত বছরের জুলাইয়ে ভারত সরকার দাবি করেছিলো, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ। কিন্তু এ বারের সমীক্ষার পূর্বাভাস, তা ৫ শতাংশের বেশি হবে না। যা গত ১১ বছরে সর্বনিম্ন। জানুয়ারির শুরুর দিকে একই পূর্বাভাস ছিলো কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়েরও। চলতি অর্থবছরে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ে মাসখানেক আগে আর্থিক সমীক্ষার মতো একই ইঙ্গিত দিয়েছিলো বিশ্বব্যাঙ্ক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।
আগামী অর্থবছরে দেশটির আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার ঠিক কোন পথে হবে তারও একটা রুপরেখা দেয়া হয়েছে আর্থিক সমীক্ষায়। এতে বলা হয়েছে, অগ্রাধিকার দেয়া হবে সম্পদ সৃষ্টির ওপর। আর তার জন্য নতুন ১০টি উপায়ের কথাও বলা হয়েছে সমীক্ষায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনৈতিক মন্দা কেন্দ্রীয় সরকারকে গত বছরে তার সংস্কারের পরিকল্পনায় কাটছাঁট করতে বাধ্য করেছে। আগামী দিনেও একই পথে থাকতে হবে তাদের। সাধারণ মানুষের করের বোঝা কিছুটা কমাতে গিয়েই সংস্কারের পরিকল্পনাগুলো আপাতত আরও কিছুদিন বন্ধ রাখতে হবে। এছাড়া নির্মাণ শ্রমিকদেরও দিতে হবে কিছু বাড়তি সুবিধা। পাশাপাশি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য কমাতে হবে কর্পোরেট করের হার।