যশোর প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলায় আনসার সদস্য হোসেন আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি জুয়েল পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) ভোর রাতে আসামি জুয়েলকে নিয়ে অভিযানে গেলে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটার গান ও গুলি উদ্ধার করেছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, ৩০ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে হাশিমপুর বাজারে প্রকাশ্যে আনসার সদস্য হোসেন আলীকে গুলি করে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। ওই ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর সাতজনকে আটক করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার থেকে আটক করা হয় জুয়েলকে। বুধবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে আসামি জুয়েলকে নিয়ে তাদের দেয়া তথ্য মতে হোসেন আলী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলি ও পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে জুয়েলকে সাথে নিয়ে ডিবি’র অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে একটি টিম হাশিমপুর বাজারের উত্তর পার্শ্বে জনৈক মিজানুর রহমানের ডেইরী ফার্ম এলাকায় অভিযানে যায়। এসময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামী পলাতক মুন্নার নব্য সর্বহারা বাহিনীর অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী ভাবে গুলি বর্ষন করে। পুলিশও নিজেদের জানমাল ও সরকারী অস্ত্রগুলি রক্ষার্থে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। দুই পক্ষের মধ্যে অনুমান ১০/১২ মিনিট গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়কালে ধৃত আসামী জুয়েল কৌশলে যশোর-মাগুরা গামী মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে জনৈক সাইফুল ইসলামের ধানি খালি ক্ষেত দিয়ে পূর্ব দিকে দৌড় মারে। তখন দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে ধৃত আসামী জুয়েল গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের একটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটার গান ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হবে বলেও জানান তিনি। নিহত জুয়েলের নামে কোতয়ালি থানায় ০৬টি হত্যা, ০১টি ডাকাতি, ০৫টি অস্ত্র আইনে, ০১টি বিস্ফোরক দ্রব্য, ০১টি চাঁদাবাজি ও ০২টি মাদকদ্রব্যসহ, ১৬টি মামলা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :