শিরোনাম
◈ নির্বাসন শেষে প্রত্যাবর্তন: তারেক রহমানের ফেরা কি রাজনৈতিক মোড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত? ◈ রিটার্ন দাখিলের সময় আরও একমাস বেড়েছে ◈ লটারিতে সাজা‌নো মাঠ প্রশাসন দি‌য়ে সুষ্ঠু নির্বাচন কি সম্ভব?  ◈ ২০২৬ সালে চাঁদে পা রাখবে পাকিস্তান ◈ দুবাই ক্যাপিটালসে মুস্তাফিজের বিকল্প কে এই কলিম সানা? ◈ সংস্কার প্রশ্নে জামায়াত-এনসিপি একমত, নির্বাচনী সমঝোতার ব্যাখ্যা দিলেন আখতার হোসেন ◈ জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা করলে এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে: সামান্তা শারমিন ◈ আজ শপথ নেবেন দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ◈ আরপিও সংশোধনের ধাক্কা: বিএনপিতে যোগ দিতে বিলুপ্ত হচ্ছে ছোট দল? ◈ দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়বে, আসছে শৈত্যপ্রবাহ ‘কনকন’

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০২০, ০৩:৫৪ রাত
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০২০, ০৩:৫৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মশা মারা ভাইরাল ডেইজী বাড়ি ছাড়াই ২৪ লাখ টাকা ভাড়া তোলেন!!

ডেস্ক রিপোর্ট  : ২০১৮ সালের মার্চ মাসের চিত্র। চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাবের আগেই মশার উপদ্রব কমাতে ‘স্পেশাল ক্রাশ প্রোগ্রাম’ শুরু হয় রাজধানীজুড়ে। ঠিক সেসময় একটি ভিডিও সর্বত্র ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, গাড়ির দুই পাশে মশা মারার ফগার মেশিন বসিয়ে স্প্রে করছেন দুই কর্মী। মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন এক জনপ্রতিনিধি। তিনি আর কেউ নন ওই সময়ের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র সদস্য আলেয়া সারোয়ার ডেইজী।

ডিএনসিসির ফেসবুক পেজ থেকে সেই ভিডিও ও ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, প্যানেল মেয়র সদস্য আলেয়া সারোয়ার ডেইজীর নেতৃত্বে এয়ারপোর্ট এলাকায় মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। ‘কামান দাগানো’ স্টাইলে মশা মারার সেই ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচিত-সমালোচিত হয়।

২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এই জনপ্রতিনিধি সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত হন। এবার ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থনে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রার্থী হিসেবে একজন জনপ্রতিনিধি কতটা সৎ, যোগ্য– ভোটাররা যেন সেটা বুঝতে পারেন সেজন্য প্রার্থীদের যাবতীয় তথ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনে হলফনামা জমা দিতে হয়। জমা দেন ডেইজীও।

একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে ডেইজী কতটা সৎ ও যোগ্য– তা তার জমা দেয়া হলফনামা থেকে যাচাইয়ের চেষ্টা করা হয়। আলেয়া সারোয়ার ডেইজীর হফলনামায় দেখা যায়, ২০১৫ সালের হলফনামায় তিনি যে পরিমাণ সম্পদের কথা উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের হলফনামায়ও হুবহু সেটাই উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ হলফনামায় তার দাবি, এই পাঁচ বছরে তার এক টাকাও কমেনি, আবার বাড়েওনি।

২০১৫ সালের হলফনামা অনুযায়ী, আলেয়া সারওয়ার ডেইজী এমএ পাস। তিনি একজন গৃহিণী। তার বছরে আয় ৫৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে ২৪ লাখ এবং শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে আসে ৩৪ লাখ টাকা। এছাড়া তার স্বামীর বেতন থেকে বছরে আসে ৩৪ লাখ টাকা।

২০১৫ সালের হলফনামা থেকে আরও জানা যায়, ডেইজীর কোনো স্থাবর সম্পদ নেই। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ছিল নগদ এক লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত ৩৪ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণ, ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী, এক লাখ টাকার আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, ওভেন এবং বাসার তৈজসপত্র ৫০ হাজার টাকার।

২০১৫ সালের হলফনামার এ সম্পদের পরিমাণ হুবহু ২০২০ সালের হলফনামায় রেখেছেন ডেইজী।

২০১৫ ও ২০২০ সালের হলফনামায় যে বিষয়টি লক্ষণীয় তা হলো, ডেইজীর কোনো স্থাবর সম্পদ নেই। অর্থাৎ, তার কৃষি/অকৃষি জমি কিংবা দালান/আবাসিক/বাণিজ্যিক বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট নেই। এসব না থাকলেও ‘বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য’ খাত থেকে প্রতি বছর ২৪ লাখ টাকা ভাড়া তোলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এ নারী কাউন্সিলর প্রার্থী!

ভাড়া দেয়ার মতো কিছু না থাকলেও কীভাবে বছরে ২৪ লাখ টাকা ভাড়া তোলেন, তা জানতে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ডেইজীকে একাধিকবার ফোন দেয়া হয়। এর মধ্যে দুবার দু’জন ফোন রিসিভ করেন। তারা বলেন, ডেইজী আপা প্রচারে ব্যস্ত। পরবর্তীতে ফোন দেন।

পরবর্তীতে কয়েকবার চেষ্টার পর ফোন ধরেন আলেয়া সারোয়ার ডেইজী। বলেন, ‘বাড়ি তো আমার বাবা দিছেন। যে বাড়িতে থাকি, ওইটাই তো আমার।’

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, আপনার কোনো বাড়ি নেই। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তো হলফনামা নিজে লেখি না, আইনজীবীদের দিয়ে লেখাই। উকিলকে আমি আমার বিস্তারিত দিয়ে দিছি। অবশ্যই এটা আমার রিভিউ করতে হবে। আমার বাড়ি নাই, ঘর নাই, তা তো হয় না। এগুলো তো আছেই। আমি না দেখে কথাটা এক্সাক্টলি বলতে পারতেছি না। আমাকে আগে দেখতে হবে জিনিসটা।’

ডেইজী বলেন, ‘যদি কোনো ভুল করে থাকে, সেটাও আমাকে দেখতে হবে। আর যদি সত্যি সত্যি বলে থাকে, সেটাও আমার দেখতে হবে। এখানে লোকানোর কিছু নাই। পৃথিবীর কেউ দেখাইতে পারবে না, পাঁচ টাকা কোনখান থেকে নিছি বা কেউ আমাকে দিছে।’

তিনি বলেন, ‘ট্যাক্স যেটা দেই, গৃহিণী হিসেবে যেটুকু টাকা পাই, সেটুকুর ওপরেই দেই। কারণ, আমার বড় কোনো ব্যবসা বা বড় কোনো ইনকাম নাই। আমার স্বামীর যেটা, আমার বাবার যেটা– এগুলোই তো আমার।’

উৎসঃ জাগোনিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়