মিনহাজুল আবেদীন : চীন থেকে শুরু করে সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের কোনো উপস্থিতি সনাক্ত হয়নি। সেই জন্য বিমানবন্দর ও অন্যান্য বন্দরগুলোতে নানা ধরণের সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বিবিসি বাংলাকে এসব কথা বলেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে পরামর্শ দিচ্ছে আমরা সেটি মেনে চলছি। কিছু মেডিকেল জিনিসপত্র প্রস্তুত ছিলো, এগুলো বিভিন্ন হাসপাতালে বিতরণ করা হয়েছে। তবে বিকল্প পন্থা হিসাবে ডাক্তারদের সর্তকতা অবলম্বনে রেইনকোর্ট, চশমা এবং চোখে সানগ্লাসসহ মাথায় কাপড় দিয়ে ডাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে আপাতত যেখানে যেটা পাওয়া যায়, সেটা নিয়ে তাদের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আইডিসিআর এর পরিচালক মীরযাদি সাবরিনা বলেন, পৃথিবীর কোনো জায়গায় এ পর্যন্ত, করোনা ভাইরাসের জন্য আলাদাভাবে কোনো ল্যাব বা প্রতিষেধক এখন তৈরি করা হয়নি, তবে বাংলাদেশে পরীক্ষা করা হচ্ছে, এই রোগে কেউ আক্রান্ত হয়েছে কিনা সেটা সনাক্ত করার জন্য। যাতে এই রোগ মানুষের মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশে এই ভাইরাস পরীক্ষা করার সক্ষমতা শুধুমাত্র আইডিসিআর ছাড়া অন্য কোনো জায়গা নাই।
এদিকে বক্ষব্যাধি হাসপাতালের পরিচালক সাহেদুর রহমান বলেন, আইডিসিআর সরকারি হাসপাতগুলোকে বেশ কয়েকটি নিদের্শনা দিয়েছে, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কাউকে পাওয়া গেলে, দ্রুত তাকে সেবাদান করতে হবে, তার জন্য আলাদা রুমের ব্যবস্থার করতে হবে, মেশিন ও যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করার পাশাপাশি নার্স এবং ডাক্তারদের জন্য আলাদা কাপড়ের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস একধরনের ফ্লুয়ের মতো, যার উৎপত্তি চীন থেকে শুরু হয়েছে, এটি আসলে প্রাণী থেকে ছড়িয়েছে এবং মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে । চীনে এ পর্যন্ত ১৩২ জনের উপর মানুষ মারা গেছে। সম্পদনা : রাশিদ