মাসুদ আলম : রোববার রামপুরা আফতাবনগর থেকে ২ নম্বর রোডের ৪০ নম্বর বাসায় এ অভিযান চালায় র্যাব-৩। এসময় বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ এবং পাসপোর্টের ফরম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৩-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম ফাইজুল ইসলাম জানান, মানবপাচারকারী চক্রের গ্রেপ্তার সদস্যরা হলো কক্সবাজারের মো. কবির আহমেদ ও টেকনাফের মো. এমরান। চক্রটি রোহিঙ্গা নারীদের মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশে আফতাবনগর এলাকার এই বাসায় রেখেছিলো। এর জন্য কবির আহমেদ সাত মাস আগেই এই বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলো। এই চক্রের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নারীদের সংগ্রহ করে বিভিন্নভাবে ঢাকার এই বাসায় নিয়ে আসে।
তিনি আরো জানান, এ চক্রের অন্য পলাতক সদস্য হাবিব ও গ্রেপ্তার এমরান পাসপোর্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিয়ে রোহিঙ্গা নারীদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতো। এরপর তাদের জন্য মালয়েশিয়া, দুবাইসহ অন্য কিছু দেশের আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের কাছে বিক্রি করে দিতো। গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, রোহিঙ্গা এসব নারীকে আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের কাছে চড়ামূল্যে বিক্রি করার চেষ্টায় ছিলো। কবির একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করেন। অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে পাচারকারী এ চক্রটি রোহিঙ্গা নারীদের টার্গেট করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। উদ্ধার রোহিঙ্গা নারীদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।