আব্দুল হাই সঞ্জু : ঢাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা কন্টিনিউইয়িটি ক্যান্ডিডেট। তাদের কাজ হলো কন্টিনিউ করা। তাদের নতুন নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে আকৃষ্ট করার যুক্তি নেই। দক্ষিণ সিটিতে প্রার্থী পরিবর্তন করা হলেও তিনিও আওয়ামী লীগের কন্টিনিউইয়িটি ক্যান্ডিডেট। তিনি নতুন চমক দেখিয়ে দেবেন এমন কথা জনগণ বিশ্বাস করার কথা নয়। কিন্তু তারপরও আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী প্রতিশ্রুতি দিয়েই যাচ্ছেন। অন্যদিকে, বিএনপির দুই প্রার্থী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন না। আবার আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর প্রতিশ্রুতিগুলোকে অবাস্তবও বলছেন না। ফলে দুই দলের মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে বিতর্ক জমে উঠছে না। বিএনপি প্রার্থীরা শুধু বলছেন, ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, ধানের শীষে ভোট দিয়ে জনগণ সব অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি-দুঃশাসনের জবাব দেবে ইত্যাদি।
ফলে স্পষ্টত দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ক্যাম্পেইন করছে, আর বিএনপি সিটি নির্বাচনের ক্যাম্পেইন বাদ দিয়ে জাতীয় রাজনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, জনগণ ঢাকার প্রার্থীকে ভোট দেবে, নাকি জাতীয় রাজনীতির প্রার্থীকে ভোট দেবে? বিএনপি হয়তো কৌশল হিসেবে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ইস্যু বাদ দিয়ে জাতীয় রাজনীতির কৌশল বেছে নিয়েছে। কৌশলটা কাজে লেগেছে কিনা ফলাফলে বোঝা যাবে। তবে আমার মনে হয়, উভয় ফ্রন্টেই বিএনপির খেলা উচিত। আওয়ামী লীগ যেমন ঢাকাবাসীর জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, আবার বিএনপি প্রার্থীদের অভিযোগের জবাবও দিচ্ছে, বিএনপিরও উচিত ঢাকাবাসীকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং জাতীয় রাজনীতিতে তাদের ভিকটিমহুডের সুযোগ নেয়া। সব ফ্রন্টে মুখোমুখি যুদ্ধ না হলে খেলা জমে না। দুর্বল খেলোয়াড়ের পরাজয়েরও সম্ভাবনা থাকে। ফেসবুক থেকে