কামরুল হাসান মামুন : একজন ছাত্র কেবল ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করে পদার্থবিজ্ঞানে পড়ার সুযোগ পেয়েছে বলেই কি পদার্থবিজ্ঞান পড়ার যোগ্য হয়ে গেলো? না যোগ্য হয়ে যায়নি। চান্স পেলেই ভর্তি করে ফেলি বলেই ১৫০ জন ছাত্রের মধ্যে ১৩০ জনেরই পদার্থবিজ্ঞানের প্রতি ন্যূনতম আগ্রহ নেই। তাদের ইচ্ছা ছিলো অন্য কোনো সাবজেক্ট পড়ার। এই ১৩০ জনকে তখন টেনে নিতে হয়। তাদের জন্য, পরিবারের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য এটা কতো বড় অপচয় ভাবা যায়? একটি বিভাগের এতো এতো শিক্ষকরা মিলে যদি তাদের বিভাগের জন্য যোগ্য ভালো নিবেদিত ছাত্র চিহ্নিত করে ভর্তি করতে না পারে তাদের শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতাই নেই। একই কথা প্রযোজ্য আমাদের শিক্ষক নিয়োগে।
কেবল সিজিপিএ ভালো হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে ফেললো? শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের আগে আরও অনেক কিছু দেখার আছে। তার কাছ থেকে রিসার্চ স্টেটমেন্ট, টিচিং ফিলোসফি, রেকমেন্ডেশন লেটার, ডেমো ক্লাস ইত্যাদি দেখার দরকার ছিলো। এগুলো না দেখেই আমরা শিক্ষক নিয়োগ দিই বলেই অধিকাংশ শিক্ষকই এটাকে কেবলই পেশা হিসেবে দেখে। এই পেশার গুরুত্ব না বুঝেই এই পেশায় আসা সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য খুবই ক্ষতিকর। শিক্ষক নিয়োগ এবং ছাত্র ভর্তি এই দুই প্রক্রিয়ার ইমপ্যাক্ট অনুধাবন করতে পারতে হবে। যার গুরুত্ব যতো বেশি তার এন্ট্রি প্রক্রিয়াও ততো জটিল ও কঠিন হওয়া উচিত। এটা একটা পরম্পরার ব্যাপার। এই কাজটি করা উচিত অত্যন্ত সততা এবং মমতার সঙ্গে। ফেসবুক থেকে