জিয়া উদ্দিন সিদ্দিকী, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলী উপজেলা চাওড়া আউয়ালনগর গ্রামে সুমন (২৫) নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থাণীয় ও স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
আমতলী থানা ও হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আউয়ালনগর গ্রামের রাস্তার উপর কাঠমিস্ত্রী জামাল ফকির (৫০) ও অপর কাঠমিস্ত্রী বাবুল মীর (৪৫) কাজ করতে ছিল। একটি কাঠের টুকরা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। তখন ঘটনাস্থলের রাস্তার পাশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুমন মিয়া (২৫) তাদের উভয়ের মারামারি থামিয়ে দেন। এ ঘটনা শুনে কাঠমিস্ত্রী বাবুল মীরের ছেলে রিয়াজের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী সাইফুল, মিঠু, শহিদ মল্লিক দেশীয় অস্ত্র রামদা ও ছেনা নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুমনের উপর হামলা করে তার মাথায় কুপিয়ে আহত করে দোকান ভাংচুর করে। এসময় সুমনের দোকান থাকা বিকাশ এজেন্টের ৪০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। স্থাণীয় ও স্বজনরা ব্যবসায়ী সুমন মিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ একটি রামদা উদ্ধার করেন।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আহত সুমন মিয়া বলেন, কাঠমিস্ত্রী জামাল ফকির ও বাবুল মীর একটি কাঠের টুকরা নিয়ে মারামারি করে। আমি তাদের উভয়ের মারামারি থামিয়ে দেই। কিছুক্ষন পরে কাঠমিস্ত্রী বাবুল মীরের ছেলে রিয়াজের নেতৃত্বে ২/৩ জন সন্ত্রাসী রামদা ছেনা দিয়ে আমাকে কুপিয়ে দোকান ভাংচুর করে দোকানে থাকা বিকাশ এজেন্টের ৪০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে কাঠমিস্ত্রী বাবুল মীরের ছেলে অভিযুক্ত রিয়াজ মুঠোফোনে জানান, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুমন মিয়া আমাদেরকে মারধোর করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজরা বলেন, সুমন মিয়ার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সম্পাদনা : তন্নীমা আক্তার
আপনার মতামত লিখুন :