শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০২:৩৯ রাত
আপডেট : ২৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০২:৩৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অমিত শাহর বক্তব্য মিথ্যা, ভারতের প্রতিবেশি হিসেবে বাংলাদেশের বেশি সংখ্যালঘুরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন

আসিফুজ্জামান পৃথিল : তুলনামূলক পরিসংখ্যান নিয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন, বাংলাদেশের সংসদে সংখ্যালঘুদের জন্য কোনও সংরক্ষিত আসন নেই। তবে সংসদ নির্বাচনে নিয়মিতই সংখ্যালঘুরা অংশ নেন। এবং প্রতিযোগীতামূলক নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। বিবিসি

২০১৮ সালের নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৭৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জন নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এর আগের সংসদেও সম সংখ্যক সংখ্যালঘু এমপি ছিলেন। জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে এমপি নির্বাচিত হন।

ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় মোট আসন ৫৪৫টি। এরমধ্যে সরাসরি ভোট হয় ৫৪৩টিতে।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোট ২৭ জন মুসলিম এমপি নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশে মোট নির্বাচিত সাংসদদের ৬ শতাংশ হিন্দু এমপি। পক্ষান্তরে ভারতে মুসলিম এমপি ৫ শতাংশ।

ভারতের মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশ মুসলিম। আর বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার সাড়ে ৮ শতাংশ হিন্দু।

২০১৪ সালে আফগানিস্থানে আশরাফ ঘনির সরকার হিন্দু ও শিখদের জন্য পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে একটি আসন সংরক্ষণ করে।এর বাইরে দেশটিতে আসনের সংখ্যা ২৫০টি।

সেদেশে মনোনয়ন নিতে কমপক্ষে ৫ হাজার ভোটারের সমর্থন লাগে। কিন্তু সেদেশে হিন্দু ও শিখদের সংখ্যা মাত্র ১ থেকে দেড় হাজার। তাই তাদের জন্য নির্বাচনে অংশ নেয়াই কঠিন।

পাকিস্তানে দশটি সংরক্ষিত আসন দলগুলোর মধ্যে আসন অনুপাতে ভাগ হয়। দলগুলো নিজেরা প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে তাদের পার্লামেন্টে পাঠায়।

আরেকটি উপায় হলো সংখ্যালঘু যে কেউ সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। সেখানে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ আছে।

২০১৮ সালের নির্বাচনে মহেশ মালানি, হরিরাম কিশোয়ারি লাল ও জ্ঞান চাদ আসরানি সরাসরি আসনে নির্বাচন করেছিলেন পার্লামন্টে ও প্রাদেশিক পরিষদে এবং তারা জয় পেয়েছিলেন।

তুলনামূলক বিচার করলে দেখো যায় পার্লামেন্টে প্রতিবেশি যেকোনও দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ বেশি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়