মাজহারুল ইসলাম : কোনও কারণ ছাড়াই গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ২০০ থেকে সাড়ে ৫’শ টাকা। প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতাদের অভিযোগ, ধাপে ধাপে চালের দাম বাড়লেও এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনও তদারকি নেই।
এই সময়ে চালের দাম বাড়ার জন্য খুচরা বিক্রেতারা দায়ী করছেন পাইকারী ব্যবসায়ীদের। আর পাইকারি ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন মিল মালিকদের। এদিকে, মিল মালিকরা ধানের দাম বৃদ্ধিকে চালের বাজার অস্থিতিশীলতার কারণ হিসেবে দেখছেন। অপরদিকে, ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ কৃষকরা।
বুধবার রাজধানীর কয়েকটি বাজারে দেখা যায়, ভালো মানের নাজিরশাইল ও মিনিকেট চাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৪ টাকায়। অথচ এক সপ্তাহ আগে এ চাল বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৬০ টাকায়। খুচরা বাজারে গতকাল ৪০ থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি হওয়া মোটা চাল এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিলো ৩ থেকে ৪ টাকা কমে।
জানা যায়, খুচরা বাজারে ৩ দিন আগে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ২২শ থেকে ২২৫০ টাকায়, আটাশ চাল ১৭শ থেকে ১৭৫০টাকায়, নাজিরশাইল ২১শ থেকে ২৩৫০ টাকায়। গতকাল প্রতি বস্তা মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হয় ২৪শ থেকে ২৪৫০ টাকায়, মিনিকেট (পুরনো) ২৫শ থেকে ২৫৫০ টাকায়, আটাশ ১৮৫০ থেকে ১৯শ টাকায়, আর বিভিন্ন মানের নাজিরশাইল বিক্রি হয় ২২শ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চিনিগুঁড়া বা পোলাও চালের দাম। কেজিপ্রতি চিনিগুঁড়া চালের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। এসব বাজারে এক সপ্তাহ আগে প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৫’শ থেকে ৪ হাজার ৭’শ টাকার মধ্যে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব