চিররঞ্জন সরকার : আমাদের দুর্ভাগ্য যে, ঐতিহাসিকভাবে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তেমন একটা মধুর কখনোই ছিলো না। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বিরোধিতাকারী চীন। তারা অর্থ-অস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তাই স্বাভাবিকভাবেই ইতিবাচক ছিলো না। ৯০-এর দশকের পরে অর্থনৈতিক কারণে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা কিছুটা বাড়লেও তা নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেনি।
পরবর্তীকালে কারিগরি, অর্থ ও ঋণ সাহায্যসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার পসরা সাজিয়ে চীন বাংলাদেশের মিত্র হওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরাসরি মিয়ানমারের পক্ষ গ্রহণ করার কারণে আবারও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নড়বড়ে হয়ে গেছে। মানবতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো চীন সব সময়ই নিজস্ব স্বার্থ ও সুবিধা দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। তারা সবসময়ই ভৌগোলিক ও বাণিজ্যিক প্রভাব অক্ষুণ রাখতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে। মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতা ও বিশ্ববিবেকের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের ন্যূনতম নিদর্শন তুলে ধরতে তারা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। নির্মম নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের কাছে মিয়ানমার যেমন এক ‘কান্না’র নাম, ঠিক তেমনি চীন বাংলাদেশের জন্য এক হতাশা ও দীর্ঘশ্বাসের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :