আনিস আলমগীর : নাঈমুল ইসলাম খান ভাইয়ের জন্ম তারিখ একুশ। একুশ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা ছিলো তার। ১৯৯১ সালে আজকের কাগজের যাত্রালগ্নে আমরা যারা নাঈম ভাইয়ের সঙ্গী হয়েছিলাম তাদের মধ্যে যাদের যাদের জন্ম তারিখ একুশ ছিলো তাদের সবার নাম লিস্ট করেন তিনি। কাকতালীয়ভাবে বিভিন্ন মাসের ২১ তারিখ জন্ম নেওয়া সহকর্মীরা আমরা কম ছিলাম না। লিস্টে আমার নামও ছিলো। সেই পরিকল্পনার পরে কী হয়েছে জানি না।
নাঈম ভাইকে নিয়ে অনেকবার বলতে হয়েছে। সবাই আমরা দোষে-গুণে ভরা মানুষ। নাঈম ভাইয়ের জন্মদিনে তার গুণের কথাগুলো বলতে চাই। আমার সম্পাদকদের অনেকেই অনেক গুণ ছিলো। এদের মধ্যে আমি নাঈম ভাইয়ের সবসময় একটি গুণের প্রশংসা করি। সাংগঠনিক দক্ষতা। একজন লিডারের জন্য সেটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সবাইকে নিয়ে একটি পরিবার সৃষ্টি করতে পারেন। অনেক সম্পাদকের হয়তো লেখালেখির ক্ষমতা নাঈম ভাইয়ের চেয়ে বেশি, কিন্তু এই সাংগঠনিক দক্ষতা তাদের সবার নেই। যে কারণে নাঈম ভাই একজন সফল ব্যক্তি এবং সফল সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে নানা কুৎসা সত্ত্বেও তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন তার পরিকল্পনা মতো। সকল খবরের কাগজ, দৈনিক আজকের কাগজ, আমাদের সময় সব কিছু ছিলো আমাদের সংবাদপত্র জগতের জন্য নতুন ধারার।
প্রচলিত ধারার বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করা সহজ নয়। নাঈম ভাই সেটা পেরেছেন কারণ এক্সপেরিমেন্ট করতে তিনি ভালোবাসেন। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন। যেটা অনেকের সাহসে কুলায় না। নাঈম ভাইয়ের আরেকটি গুণের কথা না বললে নয়। তিনি বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র নীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ এই নীতি তার ব্যক্তি জীবনে গ্রহণ করেছেন। নানা কারণে যাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে তারা সবাই আবার তার সঙ্গে আছেন কোনো না কোনোভাবে। অন্তত কথা বলার সংস্কৃতি বজায় আছে নাঈম ভাইয়ের সঙ্গে। এই থাকাতে নাঈম ভাইয়ের অবদানই বেশি। কারণ তিনি কারও সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে চান না। অতীতকে ধরে আঁকড়ে থাকেন না। এটা আমাদের অনেকেই পারি না। জন্মদিনে নাঈম ভাইয়ের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। লেখক : ইরাক ও আফগান যুদ্ধ খ্যাত সাংবাদিক
আপনার মতামত লিখুন :