সুস্থির সরকার: কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রোববার দিবাগত রাতে নারী শিশু নির্যাতন ও গর্ভপাত আইনে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন কিশোরীর পিতা। কিশোরীর পিতা এই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান মামলার বরাত দিয়ে জানান, স্থানীয় রোয়াইলবাড়ী বাজারে আশরাফুল উলুম জান্নাতুল মা’ওয়া মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল হালিম সাগর তার মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক কিশোরীকে ৪ মাস আগে ধর্ষণ করেন। মেয়েটির পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পর ওই শিক্ষক মেয়েটিকে কলার সঙ্গে গর্ভপাতের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান। গত ১৬ জানুয়ারী রাতে হঠাৎ মেয়েটির পেটে প্রচণ্ড ব্যাথা উঠে ও রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এক পর্যায় মেয়েটি তার পরিবারের কাছে বিষয় জানায়।
সে জানায় কয়েক মাস পূর্বে মাদ্রাসার হুজুর তাকে বাথরুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরিবারের লোকজন হুজুরের সাথে যোগাযোগ করলে হুজুর বিষয়টি কাউকে না জানানোর কথা বলেন। ঐদিন রাতে মেযেটিকে অন্যের বাড়িতে রাখেন। পরদিন বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়েকে নিয়ে থানায় যোগাযোগ করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান মেয়েটির শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে তাকে চিকিৎসা নেয়ার কথা বলেন। তারপর পরিবারের লোকজন তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ওসি রাশেদুজ্জামান আরও জানান অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক আছেন। তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান