আসিফুজ্জামান পৃথিল, শাহনাজ বেগম : সোমবার এই বিষয়ক গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা অক্সফাম। তারা বলছে সরকারগুলো সনম্পদের বৈষম্য দূরীকরণে সঠিক নীতিমালা প্রনয়ন করেনি। সিএনবিসি
গবেষণাপত্রটি বলছে. ‘যদি সবাই নিজের সম্পদকে ১০০ ডলারের নোটে রূপান্তর করে সেটি দিয়ে স্তম্ভ বানিয়ে তার ওপরে বসে, তবে মানবসমাজের বেশিরভাগ সদস্যই মেঝেতে বসে থাকবে।’’
একটি ধনী দেশের মধ্যবিত্ত সর্বোচ্চ হলে চেয়ারের সমান উচ্চতায় বসে থাকবে। আর বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দুই ব্যক্তির অবস্থান হবে মহাকাশে।’
অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এই মুহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তার সম্পদের পরিমাণ ১১ হাজার ৬৪০ কোটি ডলার। ২য় অবস্থানে রয়েছেন ফরাসি বিলিয়নিয়ার বেরনার্ড আরনল্ড। তার সম্পদমূল্য ১১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।
অক্সফামের হিসেব বলছে কেউ যদি মিসরিয় পিরামিড নির্মাণের সময় থেকে রোজ ১০ হাজার ডলার জমাতে শুরু করেন, তিনি এরপরেও বিশ্বের শীর্ষ ৫ ধনীর চেয়ে ৮০ শতাংশ কম সম্পদের মালিক হবেন।
অক্সফাম সুপারিশ করেছে আগামী দশকের মধ্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনীদের উপর ০.৫ শতাংশ হারে কর বাড়াতে হবে। শুধু এটি করা গেলেই শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো খাতে ১১ কোটি ৭০ লাখ নতুন চাকরি তৈরি হবে।
প্রতিবেদনটি বলছে, ‘অতিরিক্ত সম্পদ মানে আমাদের অর্থনৈতিক ভ্যভস্থা ভেঙে পড়ছে। সরকারগুলোকে অবশ্যই ধনী-গরীব বৈষম্য কমাতে তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলেই মুনাফা ও প্রবৃদ্ধির মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :