শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারী, ২০২০, ১১:৫২ দুপুর
আপডেট : ২০ জানুয়ারী, ২০২০, ১১:৫২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আজ মামলার রায়, ১৯ বছর আগের এইদিনেই পল্টনে সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলা হয়েছিলো

সালেহ্ বিপ্লব : রাজধানী পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) লাল পতাকা সমাবেশটি ছিলো ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি। শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই নিহত হন খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সিপিবি নেতা হিমাংশু মণ্ডল, রূপসা উপজেলার সিপিবি নেতা ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিক নেতা আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরার লতিফ বাওয়ানি জুটমিলের শ্রমিক নেতা আবুল হাসেম ও মাদারীপুরের কর্মী মোক্তার হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ দিন পর মারা যান খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস রায়। হামলায় আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী। ১৯ বছর পর আজ এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম।

সেই নারকীয় হামলার ঘটনায় সিপিবির তৎকালীন সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান বাদী হয়ে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দেয় পুলিশ। এরপর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। পরের বছর আগস্টে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা হয়। এসব ঘটনায় জঙ্গিরা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়ার পর ফের এ মামলার তদন্ত শুরু হয়।

সাত তদন্ত কর্মকর্তার হাত ঘুরে ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মৃণাল কান্তি সাহা ১৩ আসামির বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিচার, পাঁচ বছর পর তা রায়ের পর্যায়ে এলো।

মামলার অভিযুক্ত ১৩ আসামি হলেন হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান, মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মো. মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুত্তাকিন, আমিনুল মুরসালিন, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিরাজ ও নুর ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে মুফতি মঈন উদ্দিন, আরিফ হাসান সুমন, সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। আটজন পলাতক। আর মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এই মামলার অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আজকের রায়ের মাধ্যমে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির পাশাপাশি ইন্ধনদাতা রাজনৈতিক শক্তিও চিহ্নিত হবে বলে প্রত্যাশা করে সিপিবি। আর আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। অপর দিকে আসামিপক্ষেও ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করা হয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার এদিন ধার্য করা হয়।

পল্টন হত্যাকাণ্ডের ১৯তম বার্ষিকীতে অন্য বছরগুলোর মতোই কর্মসূচি নিয়েছে সিপিবি। আজ সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তি ভবনের সামনে শহীদ স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে ফুল দেওয়া হবে, সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশও অনুষ্ঠিত হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়