মিনহাজুল আবেদীন: ১৮ই ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সময় টিভির টকশো’তে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেন, প্রথমত তারা আদালতের কথা বলে পিছিয়ে গিয়েছে, তারা ভেবেছিল পার পেয়ে যাবে, এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থার জায়গাটা অনেক কম, নির্বাচন কমিশন ঠিকমত ভোট করতে পারে না, ভোটাররা ঠিকমত ভোট দিতে পারে না, ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে পারেনা, এগুলোর কারণেই মূলত মানুষের আস্তার জায়গা অনেক কমে গেছে, কারণ একটা ধর্মীয় কাজে সাংবিধানিক অধিকার কিন্তু রাষ্ট্র ক্ষুণ্ন করতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের চুপথাকার পিছনে কারচুপি রয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও দেশের মানুষের একটা আস্থার জায়গা থাকত।
দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘সরস্বতী পূজা একটা বিদ্যা উৎসাহী পূজা এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনও ধারণা নেই, এটি অবাক করা বিষয়, আবার পহেলা ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা সেটাও তারা ভাবেনি, একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোট হবে, এ বিষয়টা অবশ্যই তাদের মাথায় রাখা উচিত ছিলো। এদেশে অনশন করে দাবি আদায় করতে হয়, এটা একপ্রকার গুয়াট্টেমি।
শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি বলেন, এখন পরীক্ষা একটি সুনির্দিষ্ট শৃঙ্খলার মধ্যে এসেছে, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রত্যেকরই একটা প্রস্তুতির ব্যাপার থাকে, আমাদের সময় আমরাও সেটা করেছি, যেহেতু সিটি নির্বাচন নিয়ে একটু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তবে আমি মনে করি পরীক্ষা আগালে সমস্যা হতে পারে, কিন্তু পেছালে তো কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। আমরা সকল বিষয় পূর্ন বিচার করেই সকল সিন্ধান্ত নিয়েছি। শিক্ষামন্ত্রনালয়ের মূললক্ষ যাতে সকল পরীক্ষা সুষ্ঠু এবং সুন্দর ভাবে হয়।
এদিকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এই সরকার পরীক্ষা একটা নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্যে এনেছে। সকল বিষয় সহজতর করেছে, ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ের প্রতি নজরদারী করেছে। আমার মনে হয় যে, পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আর কোনও পরিবারের সংশয় থাকবে না। সম্পাদনা: রাশিদ