নিউজ ডেস্ক : পুজিবাজারে সুশাসনের অভাব আছে বললে ভুল হবে, আসলে ওখানে বিএসইসি ও ডিএসইর সংশ্লিষ্টদের অপশাসন চলছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। বুধবার দৈনিক পত্রিকা কালের কণ্ঠকে এসব বলেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে এ অবস্থা চলছে। বর্তমানে তা গভীরতর হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে যেসব নতুন আইপিও আনা হয়েছে, এসবের গুণগত মান না থাকায় বাজারে কোনো ইতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়নি। বরং মানুষের টাকা চলে গেছে। পুরো প্রক্রিয়াটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।এসময় বিএসইসির চেয়ারম্যান যিনি আছেন, তিনি চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, অনৈতিকভাবে তিনি তৃতীয় দফায় নিয়োগ নিয়েছেন। এটা পুরোপুরি আইনবহির্ভূত নিয়োগ। দীর্ঘদিন তিনি অনৈতিকভাবে পদে থাকার ফলে কায়েমি স্বার্থ দেখছেন। একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছেন। তাঁর অবিলম্বে সরে যাওয়া উচিত অথবা তাঁকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। তাঁর প্রতি বিনিয়োগকারীদের বিন্দুমাত্র আস্থা নেই।
তিনি জানান, ১৯৯৬ সাল এবং ২০১০ সালের তদন্ত প্রতিবেদনে যাঁদের নাম এসেছিল, যাঁদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল, তাঁদের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির মিল পাওয়া যাচ্ছে। তাঁরাই এখন পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়ছেন, টাকা মেরে খাচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, বাজারকে যদি স্বাভাবিক করতে হয়, দ্রুত এসইসির নেতৃত্ব পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমান চেয়ারম্যানের কোনো সাফল্য নেই। নতুন, যোগ্য, সৎ ও শক্ত মেরুদণ্ডের কাউকে নিয়োগ দিতে হবে। যাঁর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা থাকবে, অথবা ওই নিয়োগের ফলে তাদের আস্থা ফিরবে। একইভাবে ডিএসই ও সিএসইর নেতৃত্বও বদল করতে হবে। তারাও কায়েমি স্বার্থ দেখছে। তাদের বোর্ড ভেঙে দিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা অবিলম্বে এসইসি পুনর্গঠন করতে হবে।