মিনহাজুল আবেদীন : গণমাধ্যমের জেন্ডারগত বা ভাষাগত নীতিমালা থাকলেও বেশির ভাগ মিডিয়া হাউজ গুলো তা মানছে না। এ বিষয়ে ডিবিসি টিবির এক টকশোতে নারী অধিকারের সংগ্রাম আর নিরন্তর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বললেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন এবং দৈনিক আমাদের অর্থনীতির প্রত্রিকার সম্পাদক নাসিমা খাঁন মন্টি।
কাবেরী গায়েন বলেন, নারীকে আসলে গোপনাঙ্গ কেন্দ্রিক এবং তার শরীর কেন্দ্রিক পবিত্রতার জায়গা থেকেই বেশি দেখা হয়। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে আমরা তাদেরকে কোন দৃষ্টি-ভঙ্গিতে দেখছি। মূলত আমাদের আগে দৃষ্টি-ভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে এবং ভাষাগত পরিবর্তন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ বেশীর ভাগ সময় আমরা ধর্ষকের নামসহ তার পরিচয় তুলে ধরছি। প্রায় প্রত্রিকা গুলোতে দেখা যায় লেখা হয়ে থাকে, রাতভর ধর্ষন, ধর্ষনকারীর গায়ে কাপড় নাই, আমরা নারীকে মহিলা বলছি, আবার অনেক বাংলার শিক্ষক ‘রমণী’ শব্দটি ব্যবহার করছে, অথচ এই শব্দগুলি অনেক আগেই আমরা বাদ দিয়েছি। আসলে আমাদের এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসাটা খুবই দরকার।
তিনি বলেন, আমাদের গণমাধ্যম গুলো কি বুঝে বা না বুঝে, নাকি না জেনেই এই কাজ গুলি করছে।
এদিকে দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক, নাসিমা খাঁন মন্টি বলেন, আমি পূর্বে জেন্ডার নিয়ে কাজ করেছি। এখন আসলে আমাদের এ বিষয় নিয়ে আরোও কাজ করাটা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। দিন-দিন অপরাধ গুলো পাল্টে গেছে, এখন ঘটনার মোড় গুলি পাল্টে গেছে তাই আমাদের তাল মিলিয়ে শব্দগুলি তৈরী করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে ধীরে ধীরে এই শব্দগুলো থেকে বেরিয়ে আসা যাবে এবং পরিবর্তন ঘটবে। এজন্য গণমাধ্যম মিডিয়া গুলোর পাশাপাশি স্যোসাল মিডিয়া অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। তবে স্যোসাল মিডিয়ায় একটু বেশি প্রভাব পড়বে। কারণ স্যোসাল মিডিয়া এখন মানুষের একটা আনন্দের জায়গা হয়ে গেছে।