মাসুদ রানা : আগ্রাসী ও বেআইনি মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের জনপ্রিয়তম সেনানায়ক কাসেম সুলেইমানির হত্যা ইরানের জন্য একটি বিশাল ক্ষতি, এমনকি এ-হত্যাকা-টির সঙ্গে ইরানের ভেতর থেকে কেউ সংশ্লিষ্টতা থেকেও থাকে। এটি ইরানের প্রথম ক্ষতি। ইরানের দ্বিতীয় ক্ষতি হচ্ছে, বিশাল সব হাঁকডাক ছেড়ে ইরাকের মাধ্যমে মার্কিনীদের জানিয়ে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে নখদন্তহীন প্রায় দু’ডজন মিসাইল নিক্ষেপ করে ৮০ জন হত্যার কথা বলা, যদিও বাস্তবে তারা কারও কেশাগ্রও ছুঁতে পারেনি বা ছুঁতে চায়নি। অর্থাৎ, ইরানের ফাঁকাবুলি ও ফাঁকাগুলি ইরানের ‘সিরিয়াস’ ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ইরানের তৃতীয় ও সবচেয়ে বড়ো ক্ষতি হচ্ছে মিসাইল ছুড়ে মার্কিন বাহিনীর রূপত কেশ ছিড়তে না পারলেও, উক্রাইনের যাত্রীবাহী বিমানে যে-কারণেই হোক মিসাইল ছুড়ে নিজদেশের ৭৮জন সহ মোট ১৮৭ ব্যক্তির প্রাণহরণ করে তা স্বীকার না করা এবং ‘ব্ল্যাকবক্স’ দিতে অস্বীকার করা। এটি ইরানের প্রত্যক্ষিত নৈতিক উচ্চস্থানকে সাংঘাতিকভাবে ধ্বসিয়ে দিয়েছে। যাহোক, শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়ে ইরান স্বীকার করেছে যে, বিশেষ পরিস্থিতিতে তার সেনাবাহিনী ভুলকরে বিমানটির ওপর মিসাইল ছুড়েছিলো। কিন্তু প্রথমে মিথ্যা বলে পরে হাতেনাতে ধরা পরে সত্য স্বীকার করলে কেউই কারও কাছে সত্যবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় না। আমার ধারণা, জেনারেল সুলেইমানির হত্যার পর বিশ্বজুড়ে ইরান যে সহানুভূতি লাভ করেছিলো, তা সে শোচনীয়ভাবে হারিয়েছে তার পরবর্তী আচরণের কারণে। ১১/০১/২০২০। ল-ন, ইংল্যা-। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :