যুগান্তর : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, তাবলিগ জামায়াতের দুইপক্ষকে একত্রে আনার চেষ্টা চলছে, যাতে আগামীতে একত্রে ইজতেমা আয়োজন করা যায়।
বৃহস্পতিবার ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের সেবায় স্থাপিত হামদর্দ ওয়াকফ বাংলাদেশ লিমিটেডের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইজতেমা বিশ্বের কাছে একটি পবিত্র বিষয়। ইসলামের মৌলিক বিষয়ে কোনো পার্থক্য নেই। তাবলিগের প্রতি সবার শ্রদ্ধা আছে। তাবলিগ নিয়ে কারো ছোটখাট ভুল-ত্রুটি যদি থাকে তা নিরসনের চেষ্টা চলছে।
এর আগে মন্ত্রী ফিতা কেটে হামদর্দ ওয়াকফ বাংলাদেশ লিমিটেডের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করেন।
এ সময় হামদর্দ ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি কাজী গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব নুরুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, হামদর্দের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিবে হামদর্দ ওয়াকফ বাংলাদেশ লিমিটেড। এই সেবা কার্যক্রম দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শেষ হওয়া পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে।
ইজতেমার মূল ময়দানের ভেতরে মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় মাঠের বাইরে মুসল্লিরা পলিথিন টাঙ্গিয়ে তার নিচে অবস্থান নিয়েছেন।
শুক্রবার বাদ ফজর শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার তিনদিনের প্রথম দফা। এ দফা শেষ হবে ১২ জানুয়ারি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে।
দ্বিতীয় দফা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারি। ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মিডিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত গাজীপুর মহানগর পুলিশের ডিসি মো. মঞ্জুর রহমান জানান, দেশের মুসল্লি ছাড়াও বৃহস্পতিবার বাইরের ৩৮ দেশের ৪৫০ জন মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন।