নিউজ ডেস্ক : দেশে প্রতি বছর দেড় লাখ মানুষ নতুন করে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়। তাদের চিকিৎসায় কাজ করছে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট। ইনডিপেনডেন্টটিভি
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রোগির তুলনায় বেডের সংখ্যা একেবারেই সিমিত যার জন্য বেড পেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় রোগীদের। অপেক্ষা করতে হয় সাত দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত। তবে ঘুষ দিলে সহসাই মেলে বেড। পড়তে হয় না বিড়ম্বনায়।
রোহান। বয়স সাত। খেলাধুলা আর চাঞ্চল্যে চারপাশ মাতিয়ে রাখা শিশুটি এখন বন্দি হাসপাতালের চার দেয়ালে। উঠে বসার শক্তিটুকুও কেড়ে নিয়েছে মরণব্যাধি ক্যান্সার। ২৫ দিন অপেক্ষার পর হাসপাতালে বেড পেয়েছে রোহান। ততদিনে ক্যান্সার ছড়িয়েছে পুরো শরীরেই। রোহানের স্বজনরা বলেন, রোহানের মা ছাড়া থাকতে পারে না। আম্মু, আম্মু করে। মা রেখে গেছে। আবার রাতে আসবে।
প্রায় এক মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে রোহানের পাশের বেডের রোগীকেও। রোহানের পাশের বেডের রোগীর স্বজনরা বলেন, কামাই নাই, কিছু না এখানে থাকতে হয়েছে। মানুষের কাছে থেকে টাকা নিয়ে চিকিৎসা করছি।
ক্যান্সার চিকিৎসায় একমাত্র বিশেষায়িত সরকারি এই হাসপাতালে বেড মাত্র ৩০০। প্রতিদিন গড়ে ৩০ টির মতো বেড ফাঁকা হলেও আবেদন পড়ে প্রায় দুইশো।
অন্য এক রোগীর স্বজন বলেন, প্রায় ১ মাস ধরে ঘুরছি কিন্তু কোন সিট পাচ্ছি না। কিশোরগজ্ঞ থেকে এসেছি। আছে দালালের উৎপাতও। সেলিম নামের এক ব্যক্তি বেড দেয়ার কথা বলে রোগীর স্বজনের কাছ থেকে নিয়েছেন সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। এক দালাল বলেন, টাকা কিভাবে লাগবে। সরাসরি বলবে না। কালকে আসতে বলবে বা সিরিয়ালে আসেন। রোগীর স্বজন বলেন, কতটা টাকা লাগছে বলতে পারছি না। তবে টাকার মাধ্যমে হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অনিয়মের বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। রোগীর স্বজনেরা মনে করেন, তারই বলছে মাসের পর মাস ঘুরতে থাকেন। সিটের জন্য ৪০০০ টাকার জন্য নিছে। ইমারজেন্সির জন্য ১৫০০ টাকা নিছে। আরো এক ব্যাক্তি বলেন, বিভিন্ন লোকেরা টাকা নিয়ে থাকে। তবে কত টাকা লাগছে সেটা বলতে পারবো না।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. সফিকুল ইসলাম বলেন, এই গুলো আমি পছন্দ করি না। যদি কারো নাম-পরিচয় উঠে আসে তাহলে আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। অনুলিখন- সানজিদা আক্তার