মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান : ভারতের এনআরসি এবং সিবিএ বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন উপসর্গ তৈরি করেছে। কোনো রাজনৈতিক দলই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এনআরসি ও সিবিএর উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে পারবে না। স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে ভারতের এনআরসি এবং সিএএ অনেক বেশি ক্ষত বাংলাদেশের জন্য তৈরি হবে। ক্ষমতায় থাকা না থাকা শুধু নয় আগামীতে ক্ষমতা আরোহণেও এনআরসি এবং সিএএ মূল উপসর্গ হয়ে দাঁড়াবে। মোদী ও অমিত শাহ ভারত থেকে মুসলমানদের খেদাতে বদ্ধপরিকর বলেই মনে হচ্ছে। তার মানে তারা যদি তাদের লক্ষ্য অর্জনে সফল হয় তাহলে এক বিশাল মুসলমান জনগোষ্ঠী অবশ্যই সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। সরকার ক্ষমতায় থাকার অন্ধলোভ এবং মুজিববর্ষ ও মুজিব শতবার্ষিকী পালন করার তীব্র বাসনার কারণে ভারতে সঙ্গে কোনো প্রকার বৈরিতায় যাবে না।
কিন্তু বাংলাদেশের সমগ্র জনগণ সরকারের এই অবস্থানের সঙ্গে অবশ্যই থাকবে না। এমনকি যে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসন সরকারকে অন্ধ সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে তারাও এই ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে থেকে তাদের অস্তিত্বের ঝুঁকি নেবে বলে মনে হয় না। তাই এখন মনে হয় আমাদের একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থে অতীব প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের অবশ্যই ভারতের এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করতেই হবে। কোনো কারণে কোনো বাঙালিকে ভারত সরকার বাংলাদেশে জোর করে প্রবেশ করালে তা বাংলাদেশ কখনোই গ্রহণ করতে পারে না এটিই হওয়াই উচিত আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান। তাই বিষয়টি সবার সদয় বিবেচনার জন্য পেশ করলাম। ফেসবুক থেকে