সময় টিভি : যানজট নিরসন আর লাইন খরচের নামে চট্টগ্রামে অটো-টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে এ চাঁদাবাজি করছেন নগরীর কোতোয়ালি মোড়ে। যা নেয়া হচ্ছে শাহ আমানত সেতু থেকে আসা তিনশ’র বেশি রি-ম্যাক্সিমা অটো-টেম্পুর চালকের কাছ থেকে। শ্রমিক নেতারা বলছেন, এ টাকার বড় একটি অংশ দিতে হয় পুলিশকে।
দিন দুপুরে প্রকাশ্যে সিএনজি রি-ম্যাক্সিমা থেকে টাকা নিচ্ছে সাদা শার্ট পরা রিটন আর লাল জ্যাকেটের কাইছার। ট্রাফিক পুলিশের সামনে এমন বেপরোয়াভাবে চাঁদাবাজি চলছে সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি মোড়ে। ছবি তুলতে গেলে সময় টিভির ক্যামেরা দেখে কাইছার পালালেও থামানো হয় রিটনকে। তিনি জানান, শ্রমিক নেতাদের নির্দেশেই নেয়া হচ্ছে চাঁদা। আর এ টাকা নাকি খরচ করা হয় যানজট নিরসনে!
রিটন বলেন, যানজট ছাড়ানোর কাজে আমরা ডিউটি করি। প্রতি টেম্পো থেকে ২০-৩০ টাকা করে নেই।
প্রতিটি রি-ম্যাক্সিমা অটো-টেম্পো থেকে দিনে নেয়া হয় সাড়ে তিনশ’ টাকা। প্রথমে ৭০, পরে ৬০ আর ৩০ টাকা। পর্যায়ক্রমে ৬ থেকে ৭ ধাপে নেয়া হয় পুরো টাকা। আর তিনশ’টি রি-ম্যাক্সিমা থেকে নেয়া হয় একদিনেই এক লাখ টাকার বেশি চাঁদা। আর এ লাইনে গাড়ি চালাতে ঘুষও দিতে হয় এক থেকে দেড় লাখ টাকা।
একজন রি-মাক্সিমা চালক বলেন, এ রোডে ১০০-১১০টির মতো গাড়ি আছে। প্রতিদিন ৯০-১০০ টাকা করে দিতে হয়।
অনুসন্ধ্যানে বেরিয়ে আসে চাঁদার এ টাকা ভাগবাটোয়ারা হয় চট্টগ্রাম অটো-টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহেদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সদস্য জানে আলমের মাধ্যমে। আর এ টাকার বড় একটি অংশ নাকি যায় প্রশাসনের পকেটে।
ট্রাফিকের নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন সিএমপির ট্রাফিক পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ। তিনি বলেন, যেকোনো সমিতি নিয়ম বহির্ভূতভাবে কোনো কার্যক্রম করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ সড়কে ৫০টি রি-ম্যাক্সিমা চলার অনুমতি থাকলেও চলছে তিনশ’টির বেশি। সম্পাদনা: জেরিন মাশফিক
https://youtu.be/-9NwWI_8VEY