জেবা আফরোজ : সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী মারা গেছেন।তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহকারী প্রেস সচিব মো. আশরাফ সিদ্দিকী এই তথ্য জানিয়েছেন। যমুনা টেভিশন
৪ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৪৯ বছর। নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হলে রবিবার সকালে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। ৪ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৪৯ বছর। নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হলে রবিবার সকালে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
১৯৭০ সালের ৩১ ডিসেম্বর নড়াইলে জন্মগ্রহণ করেন বাপ্পি। গত মঙ্গলবার ছিলো তার ৪৯তম জন্মবার্ষিকী।
তার অসুস্থতার কথা জানিয়ে ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তার স্বামী শেখ রফিক। সেখানে তিনি স্ত্রীর জন্য সবার দোয়া চেয়েছিলেন।
পেশায় আইনজীবী বাপ্পি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। ২০০৭-০৮ সময়ে জরুরি অবস্থার মধ্যে দলের নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ যখন ‘সংস্কারের’ কথা বলছিলেন, বাপ্পি ছিলেন শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্যে অনড়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি এক সময় সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বও পালন করেছেন।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পর সংরক্ষিত নারী আসন ৫টি বাড়ানো হলে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর নবম সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেন বাপ্পি।পরে দশম সংসদেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী এবং দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের সব স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার একটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। পরের বছর ৪ মে গৃহীত হয় একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিতে শাস্তির জন্য আইন করার একটি প্রস্তাব। দুটি প্রস্তাবই সংসদে তুলেছিলেন সাংসদ বাপ্পি।