শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৮:৩৯ সকাল
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৮:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যেমনটা বিচলিত করেছিলো অভিজিতের মৃত্যু অজয় স্যারের মৃত্যু আমাকে বিচলিত করেনি!

রাসেল পারভেজ : যেমনটা বিচলিত করেছিলো অভিজিতের মৃত্যু, অজয় স্যারের মৃত্যু আমাকে বিচলিত করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে তার কয়েকটা ক্লাস করার সুযোগ হয়েছে। অবসর নেয়ার সামান্য কিছুদিন আগে তিনি আমাদের সলিড স্টেট ফিজিক্সের ক্লাস নিয়েছিলেন। ২-৩ সপ্তাহ পরই তিনি অবসরে যান। সময় এবং পরিস্থিতি আমার সব চাওয়া সবসময় পূরণ করবে না। হয়তো তিনি পড়ালে আমার এই বিষয়ে আগ্রহও আরও অনেক বেশি হতো।

রাষ্ট্রের কাছে, রাষ্ট্র প্রধানের কাছে বিচারের দাবিতে তিনি আবেদন-নিবেদন করছেন, রাষ্ট্র তাকে ধর্ম কার্ড দেখাচ্ছে, তিনি গণমাধ্যমে নিজের মনের দুঃখ প্রকাশ করছেন কিন্তু ক্ষোভটা যথাযথ প্রকাশ করতে পারছেন না এই যে জঘন্য-অমানবিক একটা রাজনৈতিক-সামাজিক পরিবেশে তাকে গত ৫ বছর অতিবাহিত করতে হলো আমি তার এই লাঞ্ছিত জীবনযাপনের বাস্তবতা কল্পনা করে বিচলিত হয়েছি। আমাদের দায়িত্ব ছিলো হয়তো তার পাশে দাঁড়ানো, তবে আমরা যারা আশ্রয়ের জন্য অজয় স্যারের মতো মানুষের কাছে দাঁড়াই, তার আশ্রয় প্রশ্রয় খুঁজি, যে মানুষটা যখন রাষ্ট্রের কাছে ব্রাত্য হয়ে যায়, রাষ্ট্র যখন তাকে শোরগোল না তুলে অপেক্ষার জন্য নির্দেশ দেয়, যখন তাকে শুনতে হয় আপনার ছেলেটা নাস্তিক তার বিচারের জন্য আমরা সবটুকু করবো দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যায়। আমাদের অসহায়ত্ব, অপারগতা কিংবা অনাকাঙ্খা জানি না সামষ্টিক বিবেচনায় বছরে একটা দিন বরাদ্দ রাখা, তার সঙ্গে যোগাযোগের যে দিনতা সব মিলিয়ে আমরা কতোটুকু অবদান রাখতে পারতাম? তিনি নিজের লড়াই লড়েছেন দৃঢ় থেকে। আমরা সামান্য সময়ের জন্য সে লড়াইয়ের সঙ্গী ছিলাম। অযোগ্য-দুর্বল সঙ্গী এবং তার মৃত্যুতে এখন রাষ্ট্রের মুখ লুকানোর সুযোগ হয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতি তার যে আত্মনিবেদন, তার নিজস্ব যৌবনের যে অংশটুকু তিনি দেশকে ভালোবেসে দান করেছেন, রাষ্ট্র তার কাছে সামান্য ঋণী ছিলো। সে ঋণ ঘুচে গেলো। বিচার না হলেও রাষ্ট্র অধিপতিরা আর লজ্জিতবোধ করবেন না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়