শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৮:৩৯ সকাল
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৮:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যেমনটা বিচলিত করেছিলো অভিজিতের মৃত্যু অজয় স্যারের মৃত্যু আমাকে বিচলিত করেনি!

রাসেল পারভেজ : যেমনটা বিচলিত করেছিলো অভিজিতের মৃত্যু, অজয় স্যারের মৃত্যু আমাকে বিচলিত করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে তার কয়েকটা ক্লাস করার সুযোগ হয়েছে। অবসর নেয়ার সামান্য কিছুদিন আগে তিনি আমাদের সলিড স্টেট ফিজিক্সের ক্লাস নিয়েছিলেন। ২-৩ সপ্তাহ পরই তিনি অবসরে যান। সময় এবং পরিস্থিতি আমার সব চাওয়া সবসময় পূরণ করবে না। হয়তো তিনি পড়ালে আমার এই বিষয়ে আগ্রহও আরও অনেক বেশি হতো।

রাষ্ট্রের কাছে, রাষ্ট্র প্রধানের কাছে বিচারের দাবিতে তিনি আবেদন-নিবেদন করছেন, রাষ্ট্র তাকে ধর্ম কার্ড দেখাচ্ছে, তিনি গণমাধ্যমে নিজের মনের দুঃখ প্রকাশ করছেন কিন্তু ক্ষোভটা যথাযথ প্রকাশ করতে পারছেন না এই যে জঘন্য-অমানবিক একটা রাজনৈতিক-সামাজিক পরিবেশে তাকে গত ৫ বছর অতিবাহিত করতে হলো আমি তার এই লাঞ্ছিত জীবনযাপনের বাস্তবতা কল্পনা করে বিচলিত হয়েছি। আমাদের দায়িত্ব ছিলো হয়তো তার পাশে দাঁড়ানো, তবে আমরা যারা আশ্রয়ের জন্য অজয় স্যারের মতো মানুষের কাছে দাঁড়াই, তার আশ্রয় প্রশ্রয় খুঁজি, যে মানুষটা যখন রাষ্ট্রের কাছে ব্রাত্য হয়ে যায়, রাষ্ট্র যখন তাকে শোরগোল না তুলে অপেক্ষার জন্য নির্দেশ দেয়, যখন তাকে শুনতে হয় আপনার ছেলেটা নাস্তিক তার বিচারের জন্য আমরা সবটুকু করবো দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যায়। আমাদের অসহায়ত্ব, অপারগতা কিংবা অনাকাঙ্খা জানি না সামষ্টিক বিবেচনায় বছরে একটা দিন বরাদ্দ রাখা, তার সঙ্গে যোগাযোগের যে দিনতা সব মিলিয়ে আমরা কতোটুকু অবদান রাখতে পারতাম? তিনি নিজের লড়াই লড়েছেন দৃঢ় থেকে। আমরা সামান্য সময়ের জন্য সে লড়াইয়ের সঙ্গী ছিলাম। অযোগ্য-দুর্বল সঙ্গী এবং তার মৃত্যুতে এখন রাষ্ট্রের মুখ লুকানোর সুযোগ হয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতি তার যে আত্মনিবেদন, তার নিজস্ব যৌবনের যে অংশটুকু তিনি দেশকে ভালোবেসে দান করেছেন, রাষ্ট্র তার কাছে সামান্য ঋণী ছিলো। সে ঋণ ঘুচে গেলো। বিচার না হলেও রাষ্ট্র অধিপতিরা আর লজ্জিতবোধ করবেন না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়