শিমুল মাহমুদ : ডিসেম্বরের শুরু থেকেই শুষ্ক আবহাওয়া। ঢাকার বাতাসে ধুলার সঙ্গে উড়ছে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকর সব রাসায়নিক পদার্থ। অ্যাজমা, ফুসফুস ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ। বায়ুদূষণ থেকে কোনোভাবেই রেহাই মিলছে না রাজধানীবাসীর। এমন পরিস্থিতিতে, ঢাকাকে বাসযোগ্য করে তুলতে, সিটি করপোরেশন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ, সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ চাইলেন পরিবেশ বিশ্লেষজ্ঞরা। সংবাদ আরটিভি
বায়ুদূষণের মানদন্ড, ‘পিএম ২.৫ মাইক্রোন’ অনুযায়ী, প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সহনীয় মাত্রা ৬৫ মাইক্রোগ্রাম। কিন্তু ঢাকার বাতাসে তারও কয়েকগুণ বেশি, প্রায় ২৯৫ মাইক্রোগ্রাম। সেসঙ্গে বেড়েছে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন যৌগসহ অন্যান্য ক্ষতিকর কণার উপস্থিতিও।
পরিবেশবিদ ও গবেষক ডক্টর আতিক রহমান বলেন, উন্নয়ন ও পরিবেশ একই মুদ্রার দু’টি দিক। এটাকে আপনি আলাদা করতে পারবেন না। এটা এক সাথে চলে। আমাকে উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশ সম্মত উপায়ে। একই সঙ্গে আমাদের সামাজিক ন্যায়বোধকে তাড়িত করতে হবে।
জাতীয় বক্ষ্যব্যাধি হাসপাতালের তথ্য মতে, বছরের অন্যান্য সময় শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর আসা-যাওয়া শ’ খানেকের মধ্যে হলেও, ধুলার মৌসুম শীতে তা বেড়ে যায় চার থেকে পাঁচগুণ।
হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহেদুর রহমান বলেন, এতে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গে স্থায়ী প্রভাব ফেলে। যাদের এজমা আছে, তাদের এজমা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পরে। ঔষধ দিয়েও নিয়ন্ত্রনে আনা যায় না। যাদের রোগ ছিলো না, তারা নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত হওয়ার পর রোগী যতো ভালো পরিবেশেই যান না কেনো রোগ বিরামহীনভাবে চলতে থাকে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবু নাসের বলেন, কেবল ধূলার কারণে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে মাসে যে বিদ্যুৎ-পানি ও সময় অপচয় হয়, তার আর্থিক মূল্য তিন থেকে ১০ হাজার টাকা। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে বাযু দূষণের ফলে লাখো মানুষ মারা যাচ্ছে। ১৫ কোটি মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং তাদের দীর্ঘদিন হাসপাতালে কাটাতে হচ্ছে। এই ক্ষতিটা খুব বিশাল। সম্পাদনা : ভিক্টর কে. রোজারিও
আপনার মতামত লিখুন :