রাশিদ রিয়াজ : টানা সাত বছর ধরে বাজেট ঘাটতি বাড়ছে সৌদি আরবের। এবছর তা দাঁড়িয়েছে দেড় হাজার কোটি ডলারে। সৌতি আরবের সরকারি টেলিভিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তেলের দর ও উৎপাদন বাড়াতে না পারলে এ বাজেট ঘাটতি আগামী বছর ৫ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এরাবিয়ান বিজনেস
ওই বিবৃতি দেয়ার আগে রিয়াদে সৌদি মন্ত্রি পরিষদের এক বৈঠকে বাদশাহ সালমান আগামী বছর অর্থনীতিতে আরো সাশ্রয় নীতি গ্রহণের নির্দেশ দেন। এবছর সৌদি আরবে রাজস্ব ঘাটতি ১৪.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যার আর্থিক পরিমান দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ২শ কোটি ডলার। সর্বশেষ ওপেক তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় এবং তেলের দর বৃদ্ধি না হলে তেল খাত থেকে আকাঙ্খিত আয় করা সৌদির জন্যে আরো কঠিন হয়ে পড়বে। অথচ তেল রফতানি থেকে আয় সৌদি রাজস্বের দুই-তৃতীয়াংশ যোগান আসে। একারণেই সৌদি ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান তেলের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিনিয়োগকে উৎসাহীত করার জন্যে বিদেশি নাগরিকদের সৌদি নাগরিকত্ব দেয়া হচ্ছে। বিশে^র বৃহত্তম তেল কোম্পানি আরামকোর শেয়ার বাজারে ছাড়া হয়েছে।
সৌদি অর্থমন্ত্রণালয় বলছে সরকারের খরচ এবছর ২৭৯.৫ বিলিয়ন হলেও আয় হয়েছে ২৪৪.৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি ডলার।