জাগো নিউজ : দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে মিসর ও তুরস্ক থেকে আমদানি করা ৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাসের কাজ চলছে। অগ্রাধিকার ভিত্ততে আমদানি করা এসব পেঁয়াজ খালাস করা হচ্ছে। সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপসহ দেশের ছোট-বড় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পেঁয়াজ আমদানি করছে। চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসন, কাস্টমস ও চট্রগ্রাম কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ খালাসের কাজ তদারকি করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.আব্দুল লতিফ বকসী।
রোববার রাতে তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখার জন্য দেশের ছোট ও বড় আমদানি কারকগণকে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। আমদানিকারকগণ নতুন করে এলসি খুলে পেঁয়াজ আমদানি করছে। দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে।
দেশি পেঁয়াজ ইতোমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে, পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক হবে। দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এ পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশে পেঁয়াজ আমদানি, সরবরাহ সার্বিক পরিস্থিতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, দাম কম ও সহজ পরিবহনের কারণে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। তবে এ বছর ভারতের মহারাষ্ট্র ও অন্য এলাকায় বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কিছুদিন আগে রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস (এমইপি) নির্ধারণ করে দেয়।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। বিকল্প হিসেবে মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি মিসর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। সম্প্রতি মিয়ানমারও পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। ফলে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। অনুলিখন : ইয়াসিন আরাফাত, সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম