মহসীন কবির ও শিমুল মাহমুদ : আপিল বিভাগে আইনজীবীদের হট্টগোল প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমানে দখলদারিত্ব মন্ত্রিসভার সদস্যরা বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে উল্টাপাল্টা কথা বলছেন। শুনানীর দিন যারা বিএনপির চেয়ারপারসনের হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা যেনো মহা অপরাধ করেছেন। তারা (সরকারের মন্ত্রীরা) এসব কথা বলার আগে নিজেদের পেছনটাকে একবার দেখার চেষ্ঠা করেছেন? তারা কি মনে করেছেন, তারা কি করেছিলেন। আমাদের আইনজীবিরা তো একটাও খারাপ কাজ করেনি। তারা নিজেদের জায়গার বসে তাদের দাবির কথা বলেছেন। একটা আবেদনের কথা বলেছেন, যে আমরা ন্যায় বিচার চাই।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জনসমর্থন নেই, গায়ের জোরে বসে আছেন ক্ষমতায়।
এ সময় আদালতে হট্টগোলের বিষয়ে মন্ত্রীদের বক্তব্যেরও নিন্দা জানান তিনি। এসময় মোবাইল ফোনে থাকা কিছু ফাইল ছবি দেখিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ৩০ নভেম্বর ২০০৬ সালে তারা (আওয়ামী লীগের আইনজীবী) আদালতে লাঠি মিছিল, প্রধান বিচারপতির এজলাসে ভাঙ্গচুর, বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমরের গাড়ি পুড়ানো হয়েছে। কিন্তু কি দুভার্গ্য আজকে আমাদের মিডিয়া এ বিষয় কিছু বলতে পারবে না, লিখতে পারবে না। কারণ তাদের স্বাধীনতা নেই।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার স্বপ্ন ও চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে আগামীকাল ঢাকাসহ সারা দেশের থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি ও র্যালির ঘোষণাও দেন তিনি।
খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দয়া করে নাটক বাদ দিন। দেশনেত্রীকে জামিন দিয়ে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করুন। না হলে দেশের মানুষ কখনোই আপনাদের ক্ষমা করবে না।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভেঙে খান খান করেছে আওয়ামী লীগ এ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আবারো আগের অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। তার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। এখন ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি করে দেশ শাসন করছে।
ফখরুল বলেন, আজকে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রতেকটি সূচক কমেছে। গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস, রপ্তাতানি কমেছে। দেশকে খালি কলসির দিকে নিয়ে গেছে সরকার। এখন দুর্বৃত্তদের কবলে দেশ। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করে দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিজয়ের মাস উদযাপন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসের চেতনায় দানব সরকারকে হটিয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও পতাকা রক্ষা করতে হবে। আসুন আমরা সেই শপথ নিই।
ভারতের নাগরিক পঞ্জি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভারতের মন্ত্রিরা বলছেন যারা মুসলিম তাদের যাওয়র জায়গা আছে। তারা শুধু অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেবে। অপরদিকে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন এই নিয়ে উদ্বেগের কোনো বিষয় নেই। কিন্তু ভারত থেকে ইতোমধ্যে যারা বাংলাদেশে ঢুকে গেছে তাদের বিষয়ে কিছু বলছেন না।