শিরোনাম
◈ টি-টো‌য়ে‌ন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে আয়ারল্যান্ডের নিচে বাংলাদেশ নারী দল ◈ সোমবার নয় মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া ◈ জাতীয় নির্বাচন: দলগুলোর নানা মত, ইসির ডিসেম্বরের প্রস্তুতি ◈ তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্ট: প্রশংসনীয় এই মানসিকতা অব্যাহত থাকুক  ◈ শেখ হাসিনার শাসনামলের গুম, খুন, অর্থপাচার: আল জাজিরার তথ্যচিত্রে বিস্ফোরক তথ্য ◈ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড ◈ এবার রিপাবলিক বাংলা বন্ধ ও ময়ূখকে গ্রেফতারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গে বি'ক্ষো'ভ (ভিডিও) ◈ দেশে জঙ্গি ঢুকিয়ে দিয়ে যুদ্ধের নাটক করছে বিজেপি: কীর্তি আজাদ ◈ ডেটিং নিয়ে দ্বন্দ্ব: তিন কলেজেই মেয়েরা ডেট করে, তাই হয় মারামারি', বললেন সিটি কলেজের ছাত্রীরা ◈ দেশের বাজারে কমল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:৪০ দুপুর
আপডেট : ০৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:৪০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যেসব মানুষকে কষ্ট দিলে আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে

সানমুন নিশাত: মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। এ মানুষদের মধ্যে ৩ শ্রেণির মানুষকে কষ্ট বা আঘাত করলে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠে বলেছেন বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। - জাগো নিউজ ২৪

এসব মানুষ হলো তারা যারা সৃষ্টিগতভাবে অসহায়। তারা হলো -

১) প্রতিবন্ধি
২) পাগল ও
৩) অসহায় নারী।

যাদের প্রতি ইহসান করলে আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও পরকালে মানুষকে মুক্তির ব্যবস্থা করে দেবেন। অসহায় নারী, প্রতিবন্ধি ও পাগলদের প্রতি অত্যাচার-নির্যাতন করলে যেমন আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে তেমনি তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করলে দুনিয়া ও পরকালের মুক্তি সুনিশ্চিত।

যদিও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমাজের সব মানুষকে সমান দৃষ্টিতে দেখতেন। তিনি প্রতিবন্ধি ও অসহায়দের অধিকারের ব্যাপারে খুব বেশি সজাগ ছিলেন। প্রতিবন্ধিদের বিশেষ মর্যাদা দিতেন। যার প্রমাণ হজরত বেলাল ও হজরত উম্মে মাকতুম রাদিয়াল্লাহু আনহুমা।

হজরত বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু মৃদু বাক প্রতিবন্ধি ছিলেন। তারপরও তিনি হজরত বেলালকে মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুমকে মদিনার অস্থায়ী শাসনকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন।
এমনকি তিনি যখনই তাকে দেখতেন তখন বলতেন, স্বাগতম জানাই তাকে, যার ব্যাপারে আল্লাহ আমাকে ভর্ৎসনা করেছেন।

অন্ধ সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুমকে কোনো এক বিষয়ে তার কথার অগ্রাধিকার না দেয়ায় আল্লাহ তাআলা সতর্কতামূলক আয়াত নাজিল করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন- সে ভ্রুকুঞ্চিত করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল, কারণ তার কাছে অন্ধ লোকটি এল। তুমি কেমন করে জানবে, সে হয়তো পরিশুদ্ধ হতো অথবা উপদেশ গ্রহণ করত। ফলে উপদেশ তার উপকারে আসতো। (সুরা আবাস : ১-৪)

এ আয়াত নাজিলের পর থেকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিবন্ধিদের বিষয়ে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করেন। তাদের প্রতি ভালোবাসা বাড়িয়ে দেন। তাদেরকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে থাকেন। আর প্রতিবন্ধিদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্যতম সুমহান আদর্শও বটে।

মনে রাখতে হবে প্রতিবন্ধি, পাগল, অসহায় নারী সমাজের মানুষদেরই একটা অংশ। তাদের বাদ দিয়ে সুন্দর সমাজ কল্পনা করা যায় না। তাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখালে দুনিয়া ও পরকালের মুক্তি সুনিশ্চিত।

এসব অসহায় মানুষদের ন্যূনতম মৌলিক অধিকারগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা যেমন জরুরি তেমনি এগুলো তাদের অধিকার। তাই প্রতিবন্ধিদের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা দেখানো ও সহনুভূতিশীল হওয়ার কথা বলেছেন বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন তোমরা ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, অসুস্থ (প্রতিবন্ধি) ব্যক্তির খোঁজ খবর নাও এবং বন্দিদের মুক্ত করে দাও। (বুখারি)

সুতরাং প্রতিবন্ধি, পাগল ও অসহায় নারীদের প্রতি অবিচার নয়। তাদের প্রতি সুবিচার করার মাধ্যমে আল্লাহর আজাব ও অসন্তুষ্টি থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।

কেননা তাদের প্রতি বেখেয়াল হওয়ার কারণেই আল্লাহ তাআলা প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি সতর্কতামূলক ওহি নাজিল করেছিলেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রতিবন্ধি, পাগল ও অসহায় নারীদের প্রতি সহনুভূতিশীল হওয়ার পাশাপাশি তাদের অধিকারের প্রতি লক্ষ্য রাখার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়