আসিফুজ্জামান পৃথিল : ইমরান খান এ ঘটনাকে তুলনা করেছিলেন বার্লিন দেয়ালের পতনের সঙ্গে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন একটি ৪.৭ কিলোমিটারের করিডোর যদি দুটি দেশের মধ্যে থাকা পর্বতপ্রমান বরফ গলিয়ে দিতে পারে, তবে মন্দ কি! অবশেষে খুলে যাচ্ছে বহুল আলোচিত কারতারপুর করিডোর। শিখ তীর্থযাত্রীরা এখন থেকে অনায়াসেই ডেরা বাবা নানক থেকে কোন পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়াই চলে যাবেন কারতারপুর দরবার সাহিবে। যেখানে শুয়ে আছেন প্রখম শিখ গুরু মহাত্মা গুরু নানক দেব। বিবিসি, সিএনএন, ইয়ন নিউজ, ডন, হিন্দুস্তান টাইমস
শিখদের জন্য এ বছরের ৯ নভেম্বরের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন আর হতেই পারে না। ৭০ বছর ধরে তাদের একটির আকাঙ্খা বাস্তবায়িত হয়নি। সিরিল র্যাডক্লিফের টানা বিষাক্ত একটি রেখা জ¦লজ¦ল করছিলো সব বিশ্বাস আর আবেগের মধ্যখানে। তবে এই নিয়ে আলোচনা আর সমালোচনাও কম হচ্ছে না। এই উদ্যোগের মধ্যখানে বিষবাষ্পের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে সন্দেহ আর অবিশ্বাস। কার্তারপুর করিডোর নিয়ে শুরুতে প্রবল উৎসাহ দেখালেও শেষ মুহুর্তে এসে এই উদ্যোগ ভারতকে প্রবল দ্বিধা আর সংশয়ে ফেলে দিয়েছে। কারণ, করিডোরের উদ্বোধনের ঠিক আগে পাকিস্তান খালিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রমোট করছে। এই অনুষ্ঠানের প্রমোশনাল ভিডিওতে স্থান পেয়েছে জার্নাইল সিং ভিন্দ্রেনওয়ালে, মেজর সেহবেগ সিং, আমৃক সিং এর মতো নিহত ব্যক্তিরা। শিখ বিচ্ছিন্নতার সমর্থকরা যাদের ভাবেন শহীদ আর ভারত সরকার ভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী।
ভারতীয় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এই কারণেই বলেছেন, প্রথম দিন থেকেই তার সন্দেহ ছিলো এই করিডোর বানানোর পেছনে পাকিস্তানের কোনও গোপন এজেন্ডা আছে। এর পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিকদের কার্তারপুর যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট লাগবে কি লাগবে না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এদিকে, শুক্রবার তৈরী হয়েছে নতুন দ্বন্দ্ব। জানা গেছে, প্রথম দিন থেকেই তীর্থযাত্রীদের কাছ থেকে ২০ ডলার করে ফি নেবে পাকিস্তান। এর তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে ভারতের গণমাধ্যমগুলো। এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, এই করিডোর ব্যবহারে কোনও ধরণের ফি দিতে হবে না। অন্তত প্রথম দিন আর গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মদিনে ফি নেয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। এপি/কেএ
আপনার মতামত লিখুন :