জাকির তালুকদার : পয়সাঅলাদের পাছায় আরও তেল ঢালো। ধনীকে আরও ধনী বানানোর নীতির প্রতিফলন ঢাকা লিট ফেস্টে দেখা যায়। আমরা ভাবতাম কাজী আনিস আহমেদ এবং তাহমিমা আনামকে প্রমোট করার জন্য তাদের পিতারা পয়সা ঢালে এই ফেস্টে। সাথে জোগাড় করে স্পন্সর। এখন শোনা যাচ্ছে, গত কয়েকটি লিট ফেস্টে সরকারের অর্থ এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দিয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বিনিময়ে বাংলাদেশের সাহিত্য কী পেয়েছে এই লিট ফেস্ট থেকে? বলা হয়, বাংলাদেশের সাহিত্যকে বিদেশে পরিচিত করানোর জন্য এই ফেস্ট।
তা কী কী পরিচিতি ঘটেছে বাংলাদেশের সাহিত্যের? কোথায় কোথায় ঘটেছে? বিদেশি হলেই হলো। আনা হবে বিজনেস ক্লাসের প্লেন ভাড়া করে, রাখা হবে ফাইভস্টার হোটেলে। খাওয়ানো হবে চর্ব্য-চোষ্য-লেহ্য- পেয়। হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে হয়তো সম্মানীর ডলারও। দেশের লেখকরা আছে প্রধানত হাততালি দেওয়ার জন্য। কবিদের মধ্যে কয়েকজনকে বেছে দেয় কবিতা পরিষদ। তারা ফাঁকা তাঁবুতে কবিতাপাঠ করে সম্মানীর খামটা নিয়ে বিদায় হন। দেশের লেখকদের নিয়ে সেমিনার করা হয় অল্প সময়ের বরাদ্দ দিয়ে ছোট হলঘরে। অনেক সময় কোনো দর্শক না আসায় বাতিলও হয় সেই সেমিনার। সম্মানী? সেটা আবার কী? ডাকা হয়েছে এই না অনেক! বরং পাত পারা আছে। ভাত-বিরিয়ানি খেয়ে বিদায় হও।