মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে : যুক্তরাজ্যের নরউইচে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাঙ্গলিয়ার সম-সাময়িক সাহিত্যের অধ্যাপক ও গ্রন্থাকার অমিত চৌধুরী রচিত ‘এ নিউ ইন্ডিয়া ইজ ইমার্জিং, অ্যান্ড ইট ইজ এ কান্ট্রি রুলড্ বাই ফিয়ার’ শিরোনামের সুদীর্ঘ নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে খ্যাতনামা গার্ডিয়ান পত্রিকায় গত ৮ অক্টোবর, ২০১৯। এখানে তারই চুম্বাকংশ তুলে ধরা হলো।
এতে লেখক লিখেছেন, দেশের প্রতি মোদীর দৃষ্টিপান হচ্ছে জনগণের ইতিহাস উপেক্ষা করে ভিন্ন মতপ্রকাশকে কন্ঠরুদ্ধ করা। তারই ব্যাখ্যায় বিবৃত যে, গত ৪০ বছরে যা ঘটেনি, তা গত চারমাসে নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি পুনরায় ক্ষমতাসীন হওয়ায় ঘটেছে। সেই ধারণাটি এখন বদ্ধমূল; কেননা ১৯৭৫-১৯৭৭ সালে প্রবর্তিত জরুরি অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে তা ঢিঙিয়েছে। যৌক্তিক কারণ, নাগরিক নাগরিকের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে: সেটি কেবল মুসলমানের বিরুদ্ধে হিন্দু নয়, বরং কাশ্মীরীদের পুরো ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে। ফলে বিজেপি অনুসৃত নতুন জাতির ধারণাটি পরস্পরের মাঝে অনাস্থার জন্ম দিয়েছে।
আরও বলেছেন, তিনি নিজেই প্রধানমন্ত্রী বরাবরে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় সহিংসতার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন, যাতে ৪৮ জন খ্যাতনামা ভারতীয় চিত্রনির্মাতা, শিক্ষাবিদ, সক্রিয়কর্মী, শিল্পী ও লেখক প্রতিস্বাক্ষর করেছেন। ফলশ্রুতিতে বিহারের মোজাফ্ফরপুরে পুলিশকে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে বলা হয়েছে। তুলে ধরেছেন, আসামের ন্যাশনাল রেজিষ্টার অব সিটিজেনশীপ (এনআরসি) প্রসঙ্গটি, যা কেন্দ্রীয় সরকারের মদদপুষ্ট কার্যক্রম।
তাতে পরিসমাপ্তি টেনেছেন এই বলে যে, আমাদের অতীত বোধোদয়টি সৃষ্টি করেনি বৈচিত্র ধারণের সহাবস্থান। বরং আমাদের অনেকেই হয়ে ওঠেছেন উত্তর ভারতের অকৃতকার্য ব্রাহ্মণদের মতো, যারা হিন্দিকেই সরকারি ভাষা বানাতে চান, যা আমরা নই। এটা আত্মভোলা অবস্থান। বরঞ্চ আমাদের বোঝা উচিত ভারতে মতপার্থক্য থাকবে। এখন এটাই সময় অন্তরকে দেখে আমাদের যাত্রার পরিক্রমাকে অনুধাবণ ও গন্তব্যটি নিরূপণ।