শিরোনাম
◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে  প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন  ◈ পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফে'র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত ◈  কমবে তাপমাত্রা, মে মাসেই কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভারত, চীন বা রাশিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত নয়: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:২৭ দুপুর
আপডেট : ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:২৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশন ১৯ অক্টোবর

আসিফুজ্জামান পৃথিল : শনিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কখনই অধিবেশন বসে না। তবে বর্তশান টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেই নিয়মের ব্যতয় ঘটাতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ এমপিরা। একটি ব্রেক্সিট চুক্তির জন্য আইন পাশ করে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন এমপিরা। এই দিনটি শেষ হলে ১৯ অক্টোবরই বিশেষ অধিবেশনে বসছেন এমপিরা। বিবিসি, ডেইলি মেইল

যদি ১৮ অক্টোবর ব্রাসেলস এ একটি চুক্তি হয়ে যায়, তবে এদিন সেটির অনুমোদন এমপিদের কাছে চাইবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু চুক্তি না হলে বেশ কিছু বিকল্পও তুলে ধরা হবে। বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লওরা কুন্জেনবার্গ জানিয়েছেন, এই বিকল্পগুলোর মধ্যে থাকবে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট অথবা ব্রেক্সিটকে স্থগিত করে দেয়া। এদিকে একটি সূত্র বলছে, কোনো সমাধানে না আসা গেলে আরও একটি গণভোটের প্রস্তাব উত্থাপন করবেন লেবার পার্টির এমপিরা। দলটির নেতা জেরেমি করবিন জানিয়েছেন, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে তার দলের এমপিরা যে কোনো কিছু করতে রাজি আছেন।

১৯৩৯ সালের পর মাত্র ৪টি শনিবারে হাউজ অব কমন্সেরঅধিবেশন বসেছে। ১৯৩৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রথম এই ধরণের অধিবেশন বসে। কারণ ছিলো ২য় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত। সর্বশেষ ১৯৮২ সালের ৩ এপ্রিল অধিবেশনের উদ্দেশ্য ছিলো ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে হামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া। যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো কারণে শনিবার হাউজের অধিবেশন একটি নজিরবিহীন ঘটনাই।

এর আগে জার্মান চ্যান্সেলর এনগেলা মেরকেল বরিসকে বলেছিলেন, সবসময়ই যেনো উত্তর আয়ারল্যান্ড কাস্টমস ইউনিয়নেই থাকে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ইইউ নেতারা ব্রেক্সিট চুক্তির সব সম্ভাবনা নস্বাৎ করে দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে টেলিফোনে কথা বলার সময় রীতিমত বিতর্কে জড়িয়েছেন দুই নেতা। ডাউনিং স্ট্রিটের একটি সূত্র মেইল অনলাইনকে নিশ্চিত করেছে, ৩০ মিনিটের ফোন কলে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন ব্রিটিশ রাজ্যটির কাস্টমস ইউনিয়ন ছাড়ার সুযোগ নেই। এই শর্ত মানলেই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি চুক্তি হতে পারে। এরপরই জনসন বলেছেন, মেরকেলের অবস্থানের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি চুক্তি করা নিতান্ত অসম্ভব হয়ে গেছে। তাই যুক্তরাজ্যের জন্য এখন একটাই পথ খোলা। সেটি হলো চুক্তিহীন ব্রেক্সিট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়