সুলতান মির্জার ফেসবুক থেকে : কথিত অরাজনৈতিক আবরার হত্যার বৈধতা দিতে যারা কাজ করছে বিশেষ করে বিএনপির রিজভী গং, জামাত শিবিরের বাশেরকেল্লা ও ফেসবুক ইউনিট, জামাত শিবির বান্ধব নুরা গ্যাং... সহ আদার্স বোকাচোদা পীপল সবাইকে বলছি,
কোন নির্মম হত্যাকে অন্য হত্যাকান্ড দিয়ে জাজমেন্ট করার কথা ভুল করেও চিন্তা করিনা। কেউ যদি সামনে এগিয়ে দেয় তাহলে পিছ পা হইনা। বলেছি এই হত্যাকান্ডে সন্দেহ করি এই ভাবে যে এটা শুধু হত্যাকান্ড নয় এর পিছনে আরো কোন গভীর রহস্য আছে। বলেছি যেই বুয়েট ছাত্রলীগ নামধারী নিয়ে কথা হচ্ছে তাদের বিষয়ে সন্দেহ আছে কারন হত্যায় জড়িত ইতিমধ্যে কেউ কেউ স্বীকার করেছে তারা কলেজ জীবনে শিবিরের রাজনীতি করতো। দেশের চলমান দলীয় শুদ্ধি অভিযানের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সভাপতি শোভন ও সম্পাদক রাব্বানীকে অপসারনের পরে বুয়েটে যারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে সামান্য কারনে এটা নিয়ে ভাবনার বিষয় আছে যে ছাত্রলীগ কে বেকায়দায় এই হত্যাকান্ড কি না... অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। কাজেই হত্যায় যারা অংশগ্রহন করেছে তারা কোন ফ্লেভার পাবে না এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নাই।
প্রশ্ন অন্য জায়গায়, হত্যাকান্ড নিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পায়তারা করছে তারা কারা ? গত দুইদিনে যা দেখলাম বা শুনলাম তারা হলো সরকার বিরোধী বিএনপি, সরকার বিরোধী শিবিরের সকল ইউনিট, সরকার বিরোধী নুরা গ্যাং... এখন বুয়েটের সাধারন শিক্ষার্থী, এটা বানোয়াট গল্প হবে। বুয়েটে সাধারন শিক্ষার্থী বলে কোন শব্দ নাই। হা কথিত সাধারন শিক্ষার্থী বলা যায় যারা তলে তলে শিবিরের টেম্পু চালায়।
আমার কাছে অবশ্যই সরকারের স্বার্থ আগে। এইখানে দালালী খুজে সময় নষ্ট করার কিছু নেই। বিশ্বাস করি এই সরকারের পক্ষেই সম্ভব আবরার হত্যার বিচার করা। আর তাই সরকার কে আবরার হত্যার বিচারে নিরুতসাহী করতে বিএনপি জামাত শিবির নুরারা কাজ করছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত।
মাথায় রাখতে হবে যদি বিশ্বাস করি আবরার শিবিরের কর্মী নয় তাহলে আবরার কিন্তু সবার। আর যদি কেউ কেউ বিশ্বাস করতে বাধ্য করায় আবরার শিবিরের কর্মী, বিএনপির নয়নের মনি, ভিপি নুরার ছোটবেলায় মেলায় হারিয়ে যাওয়া ভাই, তাহলে কিন্তু আবরারে আমাদের আগ্রহ নাই।
ইতিমধ্যে ফেসবুকে একটা ছবি ঘুরছে ভারত বিরোধী আন্দোলনে আবরার প্রথম শহীদ, এটা কিন্তু আবরার হত্যার বিচারে মঙ্গল বয়ে আনবে না। কারন ভারত বিরোধী যেই ষ্ট্যাটাসের কারনে আবরার কে হত্যা করেছে এক শ্রেনীর বহিরাগত ছাত্রলীগ নামধারী কর্মীরা সেই ষ্ট্যাটাসের পুরো মুল নিউজই কিন্তু ভুয়া, অসত্য, একেবারে অসত্য তথ্যে ভরপুর ছিল। আর এই কারনে এখন যদি ফেসবুকে জামাত শিবির কর্মীরা আবরার কে ভারত বিরোধী যুদ্ধের প্রথম বীরের তকমা দেয়, তখন স্বাভাবিক কারনেই সেটেল হয় আবরার শিবিরের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবেই জড়িত ছিল।
রুহুল কবির রেজভী আরো এগিয়ে আব্রার কে ফেলে দিয়েছে ফেনী নদীতে। রিজভী চেয়েছে ফেনী নদীর নাম হবে আবরার নদ... যা মোটেও গ্রহনযোগ্য নয় হবে না বরং রুহুল কবির রিজভীর চাওয়াতেই প্রমান করে আবরার সরকার বিরোধী জামাত শিবির চক্রের সাথেই ছিল।
ভিপি নুরা, বুঝলাম না আবরার পড়তো কই ? বুয়েটে নাকি ডাকসুতে ? নুরা রাশেদ যে ভাষায় উষ্কানী দিচ্ছে এটাকে বিচার চাওয়ার দ্বাবী বলেই না। মুলত আবরারের লাশ সামনের টেবিলে রেখে পুজি বানিয়ে সরকার বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে বুঝা যায়।
সুতরাং আবরারের বিচার পাওয়া নিয়ে আমার মধ্যেও সন্দেহ আছে, কারন রুহুল কবির রিজভী, নুরা রাশেদ রা যে আবরারের পিছনে লাগছে তাতে কেন জানি মনে হচ্ছে আবরারের বিচার কি আটকিয়ে দিবে ওরাই...?