আর রাজী : নানাভাবে, নানা রকম তালিকা তৈরি হয় বিশ্বে। শিক্ষিত বাঙালি কথায় কথায় যেসব রাষ্ট্রের উদাহরণ টানে সেসব রাষ্ট্রের অবস্থা, অবস্থান, পরিস্থিতি বোঝার জন্য আমার বিবেচনা থেকে চারটি তালিকা সাধারণ্যে পেশ করলাম। সবচেয়ে অসভ্য-২০ রাষ্ট্র : সেই রাষ্ট্র হচ্ছে ততো বেশি অসভ্য যে রাষ্ট্র যতো পৃথিবী দোহন করে, ওজোন খায় আর কার্বন হাগে। একটি রাষ্ট্র কী মাত্রায় কার্বন হাগে তা দিয়ে আপনি তাদের অসভ্যতার মাত্রা মাপতে পারবেন। মাথাপিছু সবচেয়ে বেশি কার্বন হাগা দেশের র্যাঙ্ক (২০১৬-এর উপাত্ত অনুসারে)। ১. সৌদি আরব, ২. অস্ট্রেলিয়া, ৩. যুক্তরাষ্ট্র, ৪. কানাডা, ৫. দক্ষিণ কোরিয়া, ৬. রাশিয়া, ৭. জাপান, ৮. জার্মানি, ৯. পোল্যান্ড, ১০. দক্ষিণ আফ্রিকা, ১১. ইরান, ১২. চীন, ১৩. যুক্তরাজ্য, ১৪. ইতালি, ১৫. ফ্রান্স, ১৬. তুর্কি, ১৭. মেক্সিকো, ১৮. ব্রাজিল, ১৯. ইন্দোনেশিয়া, ২০. ভারত।
বিশ্বের সবচেয়ে বর্বর পঞ্চদশ রাষ্ট্র : বর্বরতা হচ্ছে পাশবিকতা ও নিষ্ঠুরতা সমন্বিত রূপ। নিজেকে রক্ষার নামে অন্যকে ধ্বংস করার শারীরিক-মানসিক অবস্থা-পরিস্থিতি-প্রস্তুতি সমন্বয়ে এই বর্বরতা তৈরি হয়। একটি রাষ্ট্র কতোখানি বর্বর তা মাপতে পারবেন সামরিক খাতে তার মাথাপিছু ব্যয় দিয়ে। সামরিক খাতে মাথাপিছু সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা বর্বর রাষ্ট্রদের র্যাঙ্ক (২০১৭ সালের উপাত্ত অনুসারে)। ১. সৌদি আরব, ২. সিঙ্গাপুর, ৩. ইসরাইল, ৪. যুক্তরাষ্ট্র, ৫. কুয়েত, ৬. নরওয়ে, ৭. গ্রিস, ৮. যুক্তরাজ্য, ৯. ফ্রান্স, ১০. বাহারাইন, ১১. অস্ট্রেলিয়া, ১২. ব্রুনাই, ১৩. লুক্সেমবার্গ, ১৪. ডেনমার্ক, ১৫. নেদারল্যান্ড।
চোরের সর্দার শীর্ষ দশ দেশ : চুরি করা টাকা গোপনে ব্যাংকে রাখা যায় এমন দেশগুলোকে ‘চোরদের দেশ’ নিশ্চয়ই বলা যাবে। চোরাই টাকা গোপনে রাখার জন্য একটা রাষ্ট্র কতোখানি নিরাপদ তা ‘সেফেস্ট অফশোর ব্যাংকে’র র্যাঙ্ক দিয়ে বুঝতে পারা যায়। চোরদের টাকা-পয়সা রক্ষাকারী সেই দেশগুলোকে চোরদের সর্দার দেশ বলে চেনাই যথাযথ। চোরের সর্দার শীর্ষ দশ দেশের তালিকা। (২০১৯ -এর উপাত্ত অনুসারে)। ১. জার্মানি, ২. সুইজারল্যান্ড, ৩. নেদারল্যান্ড, ৪. লুক্সেমবার্গ, ৫. ফ্রান্স, ৬. সিঙ্গাপুর, ৭. সুইডেন, ৮. দক্ষিণ করিয়া, ৯. কানাডা, ১০. অস্ট্রেলিয়া।
বাটপারদের আশ্রয়দাতা শীর্ষ দ্বাদশ রাষ্ট্র : বাটপারের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সে চোর-ডাকাত-ভ--সাধু সবাইকে সমান প্রশ্রয় দেয় আর তাদের উপরই নির্ভর করে চলে। যেকোনো সম্পদ, বিশেষত টাকা নিয়ে দুয়ারে দাঁড়ালে টাকার উৎস-বৈধতা-অবৈধতা বিষয়ে জানতে না চেয়ে বিনা প্রশ্নে দুয়ার খুলে থাকতে দেয়া অর্থাৎ নাগরিকত্ব দেয়া দেশগুলোকে আমরা নিশ্চয়ই বাটপারদের আশ্রয়স্থল এবং নীতিহীন রাষ্ট্র বলতে পারি। নানাভাবে টাকা-পয়সা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন-কানুন ফাঁকি দিয়ে নতুন দেশে গোপনে সটকে পড়া লোকদের আপনি নিশ্চয়ই চরম অসৎ বলেই মানবেন। নানা ছলে এদের যারা প্রশ্রয় দেয় তাদের বাটপার ছাড়া আর কী বলতে পারেন। যদিও ওই বাটপার দেশগুলো এদের কেবল ধনী বা রিচ বলে চিহ্নিত করে। গন্তব্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনো রাষ্ট্রে সঙ্গে নিয়ে আসা টাকার উপর কর দিতে হয় নাÑ এটি চোরদের একটা বড় বিবেচনা থাকে। সেই পলায়নকারী ধনীদের গন্তব্য (২০১৯ সালের তালিকা) তালিকা দেখে এই বাটপার দেশগুলোকে আপনি শনাক্ত করতে পারবেন। এমন শীর্ষ বাটপার দেশ হচ্ছে : ১. অস্ট্রেলিয়া, ২. যুক্তরাষ্ট্র, ৩. কানাডা, ৪. সুইজারল্যন্ড, ৫. সংযুক্ত আরব আমিরাত, ৬. ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ, ৭. নিউজিল্যান্ড, ৮. সিঙ্গাপুর, ৯. ইসরাইল, ১০. পর্তুগাল, ১১. গ্রিস, ১২. স্পেন। ফেসবুক থেকে