বিশ্বজিৎ দত্ত : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ফরিদপুর-৪ আসনের নির্বচনি প্রচারণায় বলেছিলেন আমার আত্মীয়র তালিকায় রয়েছ আমার বোন শেখ রেহানা আমাদের ছেলে, মেয়ে ও জামাতারা। একইদিন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বালুর মাঠে নির্বাচনি জনসংযোগে তিনি বলেন, আমার ছেলে জয় ও মেয়ে সায়মা, শেখ রেহানার ৩ ছেলে ও মেয়ে, ববি, টিউলিপ, প্রিয়ন্তি তাদের ছেলেমেয়ে ও জামাইদের বাইরে আমার কোন আত্মীয় নেই। এরআগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে তার পরিবারের একটি তালিকা দেন সেখানেও তিনি বলেন এরা হলেন আমার পরিবারের সদস্য।
তবে গণভবণে প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় ওস্বজনদের সঙ্গে যে ইফতার করেছেন সেখানে এর বাইরেও আরো আত্মীয়দের দেখা গেছে। এই আত্মীয়দের মধ্যে রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল হক সেলিম ও তার ভাই শেখ মারুফ। প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই এমপি শেখ হেলাল,তার দুই এমপি ছেলে, শেখ তন্ময় ও শেখ জুয়েল।এছাড়াও রয়েছেন, শেখ হাসিনার ভাতিজা এমপি ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসও শেখ ফজলে শামস। আত্মিয়দের মধ্যে রয়েছেন, ফুফাতো ভাই আবুল হাসনাত আব্দুল্লা তার ছেলে বরিশালের মেয়র সাদিক আব্দুল্লা। এছাড়াও রয়েছে, শেখ সেলিমের বোনের স্বামী যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। আবুল হাসনাত আব্দুল্লার বোনকে বিয়ে করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রশিদুল আলম তিনি মাহবুব আলম হানিফের ভাই। এর বাইরে রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ নূর এ আলম চৌধুরী ও এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী(নিক্সন)। এর বাইরে শেখ হেলালের কন্যার জমাতা বিএনপি নেতা আন্দালিব রহমান পার্থও রয়েছেন আত্মীয়ের তালিকায়।