স্বপন দেব : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া কিশোরীর বাল্য বিয়ে ঠেকালো উপজেলা প্রশাসন। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ সেল ১০৯ থেকে খবর পেয়ে এই বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী।
জানা যায়, বুধবার উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের উত্তর মাদানগর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মোনায়েমের কন্যা গজভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মাছুমা আক্তার লিমার সাথে একই ইউনিয়নের কালারায়ের চড় এলাকার বাসিন্দা হাফিজ মিয়ার ছেলে দুবাই প্রবাসী সামছুদ্দিন মিয়ার বিয়ের তারিখ আগ থেকেই নির্ধারণ করা ছিল। বিয়েকে ঘিরে কয়েকদিন থেকে প্রস্তুুতিও চলছিলো বেশ। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ সেল ১০৯ নাম্বার থেকে খবর পান উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী। এরপর ওই কিশোরীর বাবা আব্দুল মোনায়েমকে ইউএনও তাঁর কার্যালয়ে ডেকে আনেন। সেখানে কিশোরীর বাবা মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ার আগ পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না বলে মুছলেকা দিয়ে রেহাই পান।
বাল্য বিয়ের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে বুধবার দুপুরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাৎ সেলিনা ইয়াছমিন সরেজমিন ওই কিশোরীর বাড়িতে লোক পাঠান। সেখানে বিয়ের কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে না বলে সত্যতা নিশ্চিত করেন। বর্তমানে মেয়েটি বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। শরীফপুর ইউনিয়নের জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী ওই কিশোরীর বয়স ১৮ বছরের উর্দ্ধে। কিন্তুু কিশোরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশংসাপত্র থেকে তার জন্ম তারিখ পাওয়া যায় ১১-১২-২০০৫ ইং। এই প্রশংসাপত্রে কিশোরী অপ্রাপ্ত বয়স্কা নিশ্চিত হয়ে বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ সেল ১০৯ থেকে খবর পেয়ে ওই স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেই। বাল্যবিয়ে নিয়ে কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। সরকার বাল্যবিয়ের উপর জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা করেছে। আমরা সেই নির্দেশের কোন ব্যাত্যয় ঘটতে দেবো না। সবাইকে সচেতন থেকে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :