মৌরী সিদ্দিকা : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় পরমাণু শক্তি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এমনই ঘোষণা দিয়ে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় শুরু হল আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা আইইএ এর ৬৩তম সাধারণ সম্মেলন।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান বিজ্ঞানমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ।
বিশ্বে ৩২তম দেশ হিসেবে পরমাণু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পথে বাংলাদেশ। পরমাণু শক্তি যেন ভিন্ন পথে কেউ ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করে জাতিসংঘ সংস্থা আইইএ। সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে ৬৩তম সাধারণ অধিবেশন শুরু হল ভিয়েনায়। পরমাণু শক্তির বহুমুখী ব্যবহার নিয়ে প্রথম দিনেই আলোচনা করেন সদস্যরা।
সম্মেলনে সদ্য বিদায়ী সভাপতি মার্তা জিয়াকোভা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বড় সমাধান হতে পারে পরমাণু বিদ্যুৎ।
তিনি বলেন, কার্বন নি:সরণের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য ক্লিন এন্যার্জি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুটোরই একটি সমাধান হতে পারে পরমাণু শক্তি। এজন্য আরও বেশি গবেষণা বাড়াতে হবে।
সম্মেলনের প্রথম দিনের শেষভাগে কথা বলে বাংলাদেশ।
প্রতিনিধি দলের প্রধান বিজ্ঞানমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনে আইএ’র সকল নীতি মেনে চলছেন তারা।
সম্মেলনে নিজ দেশের স্টলের সামনে বিজ্ঞানমন্ত্রী বলেন, পরমাণু বহুমুখী ব্যবহারে আইএইএ’র সহযোগিতা পায় বাংলাদেশ। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের টিমকে তৈরি করা যায় যেন প্রত্যেকটা লেবেলে তাদের যে আলোচনাগুলো হবে সব ফিল্ডে- সেটাকে আমরা কাভার করে নিয়ে যাব।
সম্মেলন শেষ হবে ২০ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশসহ বিশে^র বেশ কয়েকটি দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বেশ হিমশিম খাচ্ছে। জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সাধারণ অধিবেশনেও উঠে এসেছে সেই বিষয়টি। এখান থেকে আহŸান জানানো হয়েছে পরমাণু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সদস্য রাষ্ট্রগুলো যেন আরও বেশি গবেষণা করে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন