সুজন কৈরী : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে দুর্গাপূজার আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন তিনি।
পুলিশ প্রধান বলেন, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের লক্ষ্যে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাবেদ পাটোয়ারী প্রতিমা তৈরির সময় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র স্থাপন এবং হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহারের জন্য পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সব ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। পুলিশ প্রধান আশা প্রকাশ করে বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অতীতের মতো এবারো দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হবে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (অপারেশনস্) সাঈদ তারিকুল হাসান দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সভায় তুলে ধরেন। সভায় আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় উপস্থিত পূজা উদ্যাপন পরিষদ নেতারা দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, পুলিশের সক্ষমতা আগের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেড়েছে, দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে পুলিশ ইতোমধ্যে তাদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছে। মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি হয়েছে। মানুষের আর্থিক সক্ষমতাও বেড়েছে। এসব কারণে প্রতি বছর দেশে পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে। আসন্ন দুর্গাপূজাও সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে উদ্যাপিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা জানান, চলতি বছর সারাদেশে প্রায় একত্রিশ হাজারের বেশি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় র্যা বের মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত আইজিপি (এঅ্যান্ডও) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মহসিন হোসেন, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি আবদুস সালাম, এসবি প্রধান মীর শহীদুল ইসলাম, সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, টিঅ্যান্ডআইএমের অতিরিক্ত আইজিপি মো. ইকবাল বাহার, হাইওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহাবুবুর রহমান, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার, রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী শান্তিকায়নন্দসহ অন্যান্য নেতারা, এনএসআই, ডিজিএফআই, আনসার ও ভিডিপি, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়