শিরোনাম
◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি ◈ বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স: কীভাবে পাবেন, কী কী শর্ত মানতে হবে? ◈ এবার থাইল্যান্ড থেকে ভারতগামী বিমানে ১৬ টি সাপ, এরপর যা ঘটল ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্তা

প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৫:১৮ সকাল
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৫:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অতিবৃষ্টির কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে  ১৫ হাজার রোহিঙ্গা

কক্সবাজার প্রতিনিধি : রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্ট আন্তঃসমন্বয় গ্রুপ (আইএসসিজি) এই তথ্য জানিয়েছে।  এই গ্রুপে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডাব্লিউএফপি) পাশাপাশি সরকার সমর্থক এনজিওগুলোও রয়েছে।

আইএসসিজি কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মৌসুমি বর্ষা মোকাবিলায় কাজ করছে। বুধবার একটি যৌথ বিবৃতিতে চলমান মৌসুমি বর্ষায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি তুলে ধরে আইএসসিজি।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, চলতি সপ্তাহের শনিবার থেকে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে তীব্র বৃষ্টি ও বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। তবে শিবিরগুলোতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শরণার্থী এলাকায় ১৫টি ভূমিধস, ২৫টি ঝোড়ো বাতাস এবং পাঁচটি বন্যার ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে রোহিঙ্গা এলাকার চার হাজার ৫৪৩টি পরিবারের ১৪ হাজার ৮০১ জন সাময়িকভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এ ছাড়া ৪২৭টি আশ্রয় কেন্দ্রের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আর ৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে টেকনাফ এলাকায় ভূমিধসের পরে দুই বাংলাদেশি শিশু নিহত ও দশজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আইওএম বাংলাদেশ মিশনের উপপ্রধান ম্যানুয়েল পেরেইরা বলেছেন, বৃষ্টি ও বাতাস জীবনকে বিপন্ন করে তোলে। আমাদের কর্মীরা জরুরি পরিষেবা, মেরামত ও স্থানান্তরের জন্য ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা দীর্ঘমেয়াদি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ঝুঁকি নিরসনের দিকে মনোনিবেশ করছি।

মঙ্গলবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় বৃষ্টিপাতের কারণে প্রায় চার হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়। শুধুমাত্র টেকনাফ অঞ্চলের ২৬টি ক্যাম্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সংকট মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে ১৫টি নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র তৈরির মাধ্যমে তাদের তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

ইউএনএইচসিআর-এর কর্মীরা রোহিঙ্গাদের নিরাপদে রাখার জন্য কাজ করছে। এ ছাড়া বন্যার ফলে পৃথক হয়ে পড়া পরিবারের সদস্যদের পুনরায় একত্রিত করছে। ক্যাম্প এলাকায় আশ্রয়, খাবার এবং বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে।

কক্সবাজারের ইউএনএইচসিআর প্রধান মেরিন ডিন কাসডম্যাক বলেছেন, আমরা বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা করার জন্য অংশীদার এবং সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। আমরা প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তারা যেন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা ও দুর্যোগে কমিউনিটির মধ্যে ঝুঁকি হ্রাস করতে পারেন।

কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের সর্বাধিক বার্ষিক বৃষ্টিপাত এলাকা। এ ছাড়া সেখানে ভূমিধস, বন্যা, বাতাস এবং জলাবদ্ধতা সাধারণত দেখা যায়ই। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ

 

এএস/...

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়