আরিফা রাখি : শিক্ষার মান উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সরকার গৃহীত ডিজিটাল উদ্যোগে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ‘কম্পিউটার অ্যান্ড এক্সেসরিজ স্কুল’ কর্মসূচির অধীনে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিতরণের জন্য গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের (পিইডিপি-৪) আওতায় নতুন করে ২৬ হাজার ল্যাপটপ, ২৬ হাজার সাউন্ড সিস্টেম ও ২৬ হাজার প্রজেক্টর ক্রয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা ।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ডিপিই সূত্র জানায়, দেশের প্রতি উপজেলায় একটি করে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস পরিচালিত হচ্ছে। এর আলোকেই একসঙ্গে দেশের বিদ্যমান ৬৩ হাজার ৬০১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ই-লার্নিং ম্যাটেরিয়াল ভিত্তিক ক্লাস পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল হোসেন বলেন, আমরা উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করেছিলাম, পরে সেটা বাতিল করেছি। সরকারের সিন্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠান টেশিসের মাধ্যমে এসব পণ্য ক্রয় করার জন্য উন্মুক্ত দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তীতে সরাসরি মাল কেনার জন্য টিএন্ডটি (ডাক ও টেলিযোগাযোগ) মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে মতামত চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। তাদের মতামত পেয়েছি; তারা আমাদের জানিয়েছেন, তারা সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও স্পিকার সরবরাহ করতে পারবেন।
সচিব বলেন, এ বিষয়ে সার-সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কিনতে প্রধানমন্ত্রীর একটি অনুশাসন রয়েছে, সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে টেশিসের মাধ্যমে ২৬ হাজার ল্যাপটপ, স্পিকার ও প্রোজেক্টর কেনার সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি বলেন, টেশিস থেকে পণ্য কেনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে তাদের সক্ষমতা মনিটরিংয়ে গঠিত টিম সব বিষয়ে পরিদর্শনপূর্বক উভয়ে মূল্য নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে।
ল্যাপটপ বিতরণের ক্ষেত্রে পঞ্চম যে সকল বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে এবং আইসিটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক রয়েছে সে সব বিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :