যা ভাগ
জগলুল হায়দার
হায় মেয়ে শোন রোহিঙ্গা তুই
মানুষ হইলি কবে রে?
তোর কতো শখ ভার্সিটিতেও
শিক্ষা নিতে হবে রে!
বর্মি সেনার দাবাড় খাওয়া
তুই ছোটলোক জন্মতেই
পাসনি কিছু ছোট থেকে
এই জীবনে মন মতেই।
তাও কেন এই ঘোড়ারোগে
মজলি অমন বল তো
ফিলিস্তিনি শরণার্থী
হলেও না হয় চলতো।
অই যে সাইদ* আরো কতো
পড়ছে ইভেন হার্ভার্ডে
তুই রোহিঙ্গা বদ কপালে
রাত হয় তোর- বারবার ডে।
তোর বাবা-মা এই আঁধারেও
এতো আল্লাদ পুষিত!
কানা ছেলে পদ্মলোচন-
তোর নামও দেয় খুশি তো!
ও খুশি তুই খুশি হবি
সেই সুযোগ আর পাবি না
যা বেরিয়ে ভার্সিটিতে
কাল থেকে আর আবি না।
*সাইদ= বিশশতকের সবচাইতে প্রভাবশালী দুই চিন্তক/দার্শনিকদের একজন। যিনি ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারের সদস্য হিসাবে আমেরিকা যান। এবং দুনিয়ার সবচাইতে নামি বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
ছবিঃ রহিমা আক্তার খুশি। রোহিঙ্গা হওয়ার অপরাধে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থিকা তারে বহিস্কার কইরা শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার হরণ করা হইছে। এই ছড়ার মাধ্যমে বিশবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি। আর দ্রুত খুশির ছাত্রত্ব ফিরায়া দেয়ার দাবি জানাইতেছি।
আপনার মতামত লিখুন :