শিরোনাম
◈ ভারতে কমেছে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার, বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে-সৌদি আরবে ◈ সাফ শি‌রোপা জেতা হ‌লো না বাংলা‌ে‌দে‌শের, ভার‌তের কা‌ছে টাইব্রেকারে হে‌রে গে‌লো ◈ ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি: ‘বাংলাদেশ টক্কর দিলে বাঁচবে না’ ◈ যে ‘৩ শর্তে’ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ স্থগিত হয় ◈ আইসিসি’তে জয় শাহ: ক্রিকেটে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে ভারত? ◈ সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে যা জানালেন আইএসপিআর ◈ ‘ইউনিফর্ম পড়ে আসছি, আমি কাপুরুষ না’- চাকরিচ্যুত সেনাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (ভিডিও) ◈ মিছিলের সময় গুলিস্তানে আ.লীগের ১১ নেতাকর্মী আটক ◈ ভারত যাচ্ছেন জয়, শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা হবে? ◈ নগদের সিইও জালিয়াত, পদে থাকতে পারবেন না: গভর্নর

প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:০৩ সকাল
আপডেট : ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অসামান্য নেতার বিদায়ে সামান্য কিছু কথা

আর রাজী : বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ এরই মধ্যে একটা অবিস্মরণীয় ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছেন। মৃত্যুর পর তার সম্পর্কে অনেক ভালো ভালো কথা শুনছি, এটা তার প্রাপ্য। আবার ফেসবুক বলছে, নতুন প্রজন্মের বিরাট অংশ তাকে কম জানে... এটা বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় অস্বাভাবিক বলে মনে হয় না। মানুষ মারা গেলে ভালো ভালো কথা বলতে হয়, এটা ভালো। কিন্তু কিছু অপ্রিয় কথাও এ সময়ে শোনা/জানা দরকার। এ কারণে এটা দরকার যে, নতুন শ্রোতা-দর্শকরা যেন কাউকে দেবতা ভেবে না বসে। আর মৃত্যুর সময়েও কৃতকর্মের নানামুখী আলোচনা-সমালোচনা থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়া, ভালো চর্চা না... এটা আমার অনুমান। এই প্রেক্ষাপটে তার বিদায় বেলায় সবাই যা বলছেন তা আবার উল্লেখ না করে ভিন্ন ক’টি সামান্য প্রসঙ্গের অবতারণা করে এই অসামান্য রাজনীতিকের প্রতি আমার শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চাই।

১. ‘ধর্ম-কর্ম-সমাজতন্ত্র’ ন্যাপের এই মূলমন্ত্র ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রথম প্রকাশ্যে ধর্মের ব্যবহারের পুরোধা অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ। ২. অধ্যাপক মোজাফফর হচ্ছেন সেই জননেতা যাকে তার অনুগামীরা অধ্যাপক/প্রফেসর জেনেছে আর ‘স্যার’ সম্বোধন করেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই ‘স্যার’ সম্বোধন গ্রহণের অন্যতম পুরোধা তিনি। রাজনীতি করতে এসে নামের আগে বিশেষায়িত পরিচয় বড় করে ব্যবহার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়ার কৃতিত্বও তার কিছু আছে বৈকি। ৩. অধ্যাপক মোজাফফর একাধিকবার মন্ত্রিত্ব অস্বীকার করেছেন। তিনি সম্ভবত কারও অধীনে কোনো পদ নিতে চাননি। সম্ভবত নিজেকে অধস্তন মনে হতে পারে... এ কারণেই ন্যাপে তিনি সবসময় প্রধানই থেকেছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ‘চিরস্থায়ী সভাপতি’ প্রাপ্তির যে ভাগ্য নির্মিত হয়েছে, এরও অন্যতম পুরোধা হিসেবে তাকে উল্লেখ করা যেতে পারে। ৪. ব্যক্তি ও দলকে একাকার রূপ দেয়ারও অনন্য কৃতিত্ব তার রয়েছে। ন্যাপ-মোজাফফর-কুঁড়েঘর-দল, ব্যক্তি ও দলের প্রতীক- এই তিনটিকে একাকার করে ফেলার পুরোধাও তাকে বলা যেতে পারে। ৫. অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ ২০১৫ সালে, এমন সময় স্বাধীনতা-পদক প্রত্যাখ্যান করেছেন যখন তার দল সরকারের অংশ ছিলো। এটাও বাংলাদেশের রাজনীতিতে অভিনব। ৬. অধ্যাপক মোজাফফর নিজে ‘কিছু নেননি’ কিন্তু তার স্ত্রীকে এমপি পদ নিতে দিয়েছেন বা বাধা দেননি। বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রী যে পরস্পরের আয়না... সমাজে প্রচলিত এই ধারণা ভেঙে দেয়ার পুরোধাও কি তিনি? সংক্ষিপ্ত। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়